প্রবাসীকর্মীদের ক্ষেত্রে সরকারের উদাসীনতায় দেশে বিদেশে প্রবাসীকর্মীরা বিভিন্নরকম হয়রানী ও ক্ষয়ক্ষতির সম্মূখীন হচ্ছেন বলে মে দিবস উপলক্ষে ভার্চুয়াল আয়োজিত এক আলোচনায় বক্তারা অভিযোগ করেছেন।
প্রবাসীদের নিয়ে কাজ করা রেমিটেন্স যোদ্ধা ফোরাম ও গ্লোবাল পিস মুভমেন্ট এর যৌথ উদ্যোগে ১মে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনায় করোনাকালীন ৬টিসহ মোট ১৬ টি দাবী উত্থাপন করা হয়।
চায়না প্রবাসী ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মুকিত এর সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন, ইটালী প্রবাসী গ্লোবাল পিস মুভমেন্ট এর সেক্রেটারী জেনারেল রহমাতুল্লাহ মাসউদ। প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন রেমিটেন্স যোদ্ধা ফোরাম এর আহবায়ক শহিদুল ইসলাম কবির। আলোচনা করেন, দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী বাংলাদেশ মুসলিম সোসাইটি অফ সাউথ আফ্রিকার সহ-সভাপতি মোহাম্মাদ জোনায়েদ আল হাবীব ও ইতালী প্রবাসী মোঃ ইসহাক।
সরকার প্রবাসীদের সমস্যগুলো চিহ্নিত করে পদক্ষেপ নিলে প্রবাসী আয় দ্বিগুন হবে বলে বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।
ভার্চুয়াল আলোচনায় ঘোষণা করা প্রবাসীদের দাবী সমূহঃ-
০১. প্রবাসী কর্মীদেরকে রেমিটেন্স যোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে বিএমইটি কার্ডকে আরো অধিক কার্যকর করা এর আওতায় প্রবাসীদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা।
০২. বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবাসী কর্মীদের ভিসা জটিলতা নিরসনে সংশ্লিষ্ট দেশের ইমিগ্রেশনের সাথে বৈধযোগাযোগকারী লিগ্যাল এইড ডেস্ক/ রেমিটেন্স যোদ্ধা সহায়তা ডেস্ক চালু করা।
০৩. প্রবাসীকর্মীদের জন্য বাংলাদেশের বিমানবন্দরে বিদ্যমান কাষ্টমস আইন সিথিল করা।
০৪. হাইকমিশন থেকে পাসপোর্ট করা ও ডেলিভারীর ক্ষেত্রে সকল প্রকার হয়রানী বন্ধ এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা ও তদন্ত শেষ করে পাসপোর্ট দিতে হবে।
০৫.তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে প্রবাসীদের নাগরিকত্বের বিষয়টি ওয়ানস্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে সম্পন্ন করে অনধিক ১ মাসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদানের ব্যবস্থা করা।
০৬. যে সকল দেশে ভিসার দালালরা প্রবাসীদের সাথে প্রতারণা করে বৈধ ভিসাধারীদেরকে অবৈধ করে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দেশের প্রশাসনকে অনুরোধ করা।
০৭.প্রবাসীদেরকে কর্মরত দেশে বসে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে ভোটদানের ব্যবস্থা করা।
০৮.ভারত,নেপালও ইন্দোনেশিয়ার মতো প্রবাসীদের অভিবাসন ব্যায় ১লাখের ভিতরে আনতে হবে।
০৯. প্রবাসীরা মাসে ১ লাখের কম টাকা বৈধ চ্যানেলে প্রেরণ করলে সার্ভিস চার্জ ফ্রি করতে হবে।
১০. বিমানবন্দরে প্রবাসীদেরকে আসামীর মতো জিজ্ঞাসাবাদ বন্ধ করতে হবে।
১১. বিদেশে কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে যারা করোনায় ইন্তেকাল করেছেন তাদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
১২.নিষেধাজ্ঞা নেই এমন দেশে প্রবাসীকর্মীদের জন্য ফ্লাইট চালু রাখা।
১৩. করোনা কালে দেশে ফেরা প্রবাসী কর্মীদের কোয়ারেন্টাইনের যাবতীয় খরচ সরকারকে বহন করতে হবে।
১৪.করোনাকালীন সময়ে বিমান ভাড়া বৃদ্ধি না করা এবং টিকেট কালোবাজারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া।
১৫. করোনা পরিস্থিতিতে দেশে আটকে পড়া প্রবাসী কর্মীদের সরকারী খরচে কর্মস্থলে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা।
১৬. করোনা পরিস্থিতিতে বিদেশে গমনেচ্ছুক প্রবাসী কর্মীদের জন্য বিভিন্ন বিষয়ে দ্রুত সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিতে একটি সেল গঠন ও এর মাধ্যমে ওয়ানস্টপ সার্ভিস ডেস্ক চালু করা।