১৬ আগস্ট থেকে কওমী মাদরাসাসহ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবী জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আজ বুধবার বিকেলে দেশের চলমান করোনা, ডেঙ্গু ও ভ্যাকসিন পরিস্থিতি নিয়ে এক পর্যালোচনা সভায় এ দাবি জানানো হয় ।
পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলনবাংলাদেশ-এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, গণটিকা কর্মসূচি গণ প্রতারণায় পর্যবষিত হয়েছে। যেখানে সরকারি হিসাব মতে ২৬ কোটি ডোজ টিকা প্রয়োজন, সেখানে তারা সোয়া কোটি ডোজ টিকা নিয়ে গণটিকা ঘোষণা দিয়ে জাতির সাথে তামাশা করেছে। গণটিকার কার্যক্রমে অব্যবস্থাপনা ও বিশৃঙ্খলার কারণে জনগণকে দুর্ভোগে ফেলা হয়েছে। তিনি বলেন, হাসপাতালগুলোতে লোকবল ও চিকিৎসা সামগ্রীর সঙ্কট দূর করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার।
বৈঠকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অংশ নেন যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারি মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ ও মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম রুহুল আমীন, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা নেছার উদ্দিন প্রমুখ।
মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ বলেন, গণটিকা কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে অব্যবস্থাপনা ও বিশৃঙ্খলার যে চিত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে এ বিষয়ে যথাযথ প্রস্তুতির যথেষ্ট অভাব ছিল। টিকা দিতে গিয়ে মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। কেউ কেউ দু-তিন দিন কেন্দ্রে গিয়েও টিকা পাচ্ছে না। গণটিকা কর্মসূচির ক্ষেত্রে বিরাজমান এসব অব্যবস্থাপনা ও বিশৃঙ্খলা দূর করে অবিলম্বে সকল নাগরিকের জন্য মানসম্পন্ন করোনা টিকা নিশ্চিত করতে হবে।