সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আজ বৃহস্পতিবার (৩রা জুন’২১) সারাদেশে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। কোন কোন জেলায় মানববন্ধন করলেও বেশিক্ষণ দাঁড়াতে দেয়নি পুলিশ। কোথাও কোথাও বাধার সম্মুখীন হয়েছেন দলের জেলা নেতৃবৃন্দ। লক্ষ্মীপুর জেলা জয়েন্ট সেক্রেটারীসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে স্থানীয় পুলিশ। ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মানববন্ধনগুলোতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা। শিক্ষার সঙ্গে জড়িত সবকিছুতেই বিপর্যয় নেমে এসেছে। লাগাতার ১৬ মাস ধরে স্কুল, কলেজ,মাদরাসা এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। মাঝখানে কিছুদিন কওমি মাদরাসা চালু থাকলেও আবারো তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। স্কুল, কলেজ ও আলিয়া মাদরাসার সকল ধরণের পরীক্ষা বন্ধ। গত বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অটো পাস দেয়া হয়েছে। এ বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা এখনো হয়নি। পরীক্ষা হবে কি না, তাও স্পষ্ট নয়। শিক্ষার্থীরা পড়ার টেবিল ছেড়ে এবারও অটো পাসের অপেক্ষায়। নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষামন্ত্রী বলছেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য অভিভাবকদের কোন চাপ নেই’ তার এ বক্তব্যে প্রমাণ করে দেশের সাধারণ মানুষের সাথে মন্ত্রীদের কোন সম্পর্ক নেই। তারা অবিলম্বে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জোর দাবি জানান।
যেসকল জেলায় আজ বিক্ষোভ কর্মসূচি একযোগে পালিত হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, ঢাকা জেলা উত্তর, ঢাকা জেলা দক্ষিণ, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, শেরপুর, মোমেনশাহী, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, যশোর, খুলনা, নড়াইল, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নাটোর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, চট্টগ্রাম মহানগর, বি-বাড়ীয়া, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, কুমিল্লা জেলা দক্ষিণ, উত্তর ও পশ্চিম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠী, পিরোজপুর, ভোলা, বরগুনা, সিলেট, সুনামগঞ্জ মৌলভী, রাজশাহী, কুড়িগ্রাম, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, মেহেরপুর, পাবনা জেলায় পৃথক পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।