ভাস্কর্যের নামে বঙ্গবন্ধুর মুর্তি না বানানোর দাবী জানিয়ে ঈমানদার জনতার গণ সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম সাহেবের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যে দেশবাসী হতবাক হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির।
আজ এক বিবৃতিতে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদের সভাপতি বলেন, প্রায়ত মেয়র মহিউদ্দীন চৌধুরীর সন্তান হয়ে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এর গতকালকে দেয়া বক্তব্য মেনে নেয়া যায় না। মাননীয় শিক্ষা উপ-মন্ত্রী “বাড়াবাড়ি করবেন না, ঘাড় মটকে দেবো” বলে বক্তব্য দিয়ে শপথ ভঙ্গ করেছেন কিনা একটু খতিয়ে দেখবেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, মাননীয় উপ-মন্ত্রীর ঘাড় মটকে দেবার বক্তব্য ঈমানদার জনতার সাথে যুদ্ধ ঘোষণার ইঙ্গিত বহন করে। সরকারের একজন মন্ত্রী হয়ে তিনি কি জনগনের সাথে কোন রকম যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারেন? শুক্রবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুমতি নিয়ে ধোলাইপাড় চত্বরের পরিবর্তে তৌহিদী জনতার উদ্যোগে আয়োজিত গণ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ মুর্তির বিষয়ে ইসলামের বিধি নিষেধ সম্পর্কে বক্তব্য দিয়ে এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা রক্ষায় ঈমানদার জনতা তাদের করণীয় সম্পর্কে বলেছেন। জনাব আলহাজ্ব মহিউদ্দীন চৌধুরীর সন্তান হিসেবে জনাব নওফেল এর প্রয়োজন ছিলো মুর্তির পক্ষে ইসলামের নির্দেশনা থাকলে তা তুলে ধরা। নয়তো, সরকার প্রধান বা সংশ্লিষ্টদের উপরে ছেড়ে দেয়া। তা না করে ঈমানদার জনতার সাথে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের উস্কানীমুলক বক্তব্য দুঃখজনক। এমন বক্তব্য ঈমানদার জনতাকে আন্দোলিত করে দেশকে অস্তির করে তুলতে পারে।
শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, মাননীয় শিক্ষা উপ-মন্ত্রীর বক্তব্যে দেশের ঈমানদার মুসলমানদের হৃদয়ে আঘাত হেনেছে। ঈমানদার জনতা মনে করে ক্ষমতার দাম্ভিকতায় মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বাবার ঐতিহ্য ভুলে কারো প্ররোচনায় এখন এমন হুমকি-ধামকি দিয়ে কথা বলছেন।