চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে ঐতিহ্যবাহী চরমোনাই মাদরাসা ময়দানে অগ্রহায়ণ মাসের মাহফিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মানুষ অংশ নেয় আত্মশুদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে। অন্যান্য বছরগুলোতে ইচ্ছা থাকলেও সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের পক্ষে এ মাহফিলে অংশ নেয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। এবছর করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কওমি মাদ্রাসা ব্যতীত দেশের সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। একারণে সারাদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ অন্যন্য বছরের তুলনায় বহুগুণ বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাধারণ শিক্ষায় ব্যাপকভাবে ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব না থাকায় ইসলাম সম্পর্কে মৌলিক ধারণা নিতে পারে না একটি বিশাল অংশ শিক্ষার্থীরা। যে কারণে পারিবারিকভাবেই মাহফিল ও ইসলামী জলসা সমূহে সন্তানদেরকে পাঠানোর ব্যাপারে তাগিদ দেন অভিভাবকরা। চরমোনাই, ছারছীনা, উজানী সহ এধরণের মাহফিলগুলো সেসব শিক্ষার্থীদের ইসলামের মৌলিক শিক্ষা প্রদানের জন্য আদর্শ পন্থা।
অপরদিকে কওমি শিক্ষার্থীরা নিজেদের ইলমে শরীয়তের ওপর ইস্তেকামাত রাখা এবং ইলমে মারিফাত অর্জনের জন্য যেসকল ইসলাহী জলসায় যাওয়ার প্রয়োজন অনুভব করে তন্মধ্যে চরমোনাই মাহফিল অন্যতম।
অন্যান্য বছরগুলোতে কোনো না কোনো পর্যায়ে পরীক্ষা কিংবা ক্লাস চালু থাকায় সর্ব স্তরের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ সম্ভব হয় না এ মাহফিলগুলোতে। কিন্তু এবার শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থার এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের অনেকেই অংশ নিতে পারবেন এবারের চরমোনাই মাহফিলে।