দেশব্যাপী অযৌক্তিক লকডাউন এর প্রতিবাদে ইশা ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচি পালনে বাধা দিয়েছে পুলিশ। এতে মরহুর্তেই মানববন্ধন কর্মসূচি রূপ নেয় বিক্ষোভ মিছিলে।
মঙ্গলবার (০৬ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব সম্মুখে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর কর্তৃক আয়োজিত “বৈশ্বিক করোনা মহামারীতে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করে দ্বিতীয় ধাপে ঘোষিত দেশব্যাপী অযৌক্তিক লকডাউন এর প্রতিবাদে মানববন্ধন” কর্মসূচি শুরু হলেই পুলিশ কর্মকর্তারা ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে। এসময় সংগঠনের নেতাকর্মীরা “লকডাউন মানিনা”, ” ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট এ্যাকশন” সহ বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে পল্টন মোড় হয়ে আইএবি চত্বরে চলে আসে।
বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল করীম আকরাম বলেন, হঠাৎ করেই নাটকীয়ভাবে লকডাউনের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও গরিবের গলার কাঁটা।
নূরুল করীম আকরাম আরো বলেন, ২০২০ সালের ২৬ মার্চ থেকে ঘোষিত লকডাউনের দরুন সাধারণ মানুষের ভোগান্তি এখনো কেটে উঠেনি। ব্যবসা বাণিজ্য থেকে সবকিছু নড়বড়ে। এখন নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জনগণের রুটি রুজির ব্যবস্থা সহ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করে দ্বিতীয় ধাপে দেশব্যাপী আবারো অযৌক্তিক লকডাউনের সিদ্ধান্ত খাম খেয়ালি ও দায়িত্ব জ্ঞানহীন অপরীনামদর্শী সিদ্ধান্ত। এরকম লকডাউন জনগণ মেনে নেয়নি। আগে জনগনের রুটি রুজির ব্যবস্থা করুন। তার পর লকডাউন দিন, জনগণ স্বশ্রদ্ধে বিধিনিষেধ মেনে চলবে।
তিনি আরো বলেন, লকডাউন নামক এই প্রহসনের নাটক মানুষ আর দেখতে চায় না। সরকার একদিকে লকডাউন ঘোষণা করেছে, অন্যদিকে শিল্প কারখানা, বই মেলা ও অফিস- আদালত খোলা রেখেছে। আবার একদিকে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের মাধ্যম পাবলিক বাসগুলো বন্ধ খরেছে, অন্যদিকে এলিটদের ব্যক্তিগত গাড়ী ব্যবহারে লকডাউনে কোন সমস্যা নেই। এটা কেমন বৈষম? এটা কেমন দ্বিচারিতা আচরন। সুতরাং এলিটময় গরীবের কাঁটা লকডাউন নামক এ নাটক এখনি বন্ধ করুন। জনগণ ইতিমধ্যে লকডাউনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাস্তায় নামতে শুরু করেছে। জনগণ কে দমিয়ে রাখতে পারবেন না।
সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি ইমরান হোসাইন নূর এর সভাপতিত্বে আয়োজিত মানববন্ধনে করোনাকালীন ভাগ্যাহত দরিদ্র জনতার সাথে প্রনোদনা নাটক বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর করোনাকালীন প্রনোদনা প্যাকেজের নামে নেতা কর্মীদের পকেট ভারি করার যে তামাশা গত লকডাউনে বাংলাদেশের জনগণ দেখেছে তা আর দেখতে চাইনা। এবারো মোটা অংকের প্রনোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। সেই টাকা যেন লুটেরাদের হালুয়া রুটি তে পরিণত না হয়, সঠিকভাবে যেন দরিদ্র জনগনের কাছে পৌঁছে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম শোয়াইব, কার্যনির্বাহী সদস্য আলামিন সিদ্দিকী সহ নগর নেতৃবৃন্দ।