মুহাম্মাদ ফরহাদ মোল্লা খুলনা প্রতিনিধি, আমি আলহাজ্ব মাওলানা জাহিদুর রহমান, পিতা-মৃত মফিজ গাজী, গ্রামঃজয়পুর, রুপসা, খুলনা, আমি দীর্ঘদিন থেকে অত্যন্ত সুনামের সহিত পূর্ব রূপসা রেলস্টেশন জামে মসজিদের ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করছি এবং
সাথে সাথে নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড এর ফিল্ড অফিসার হিসেবে চাকুরী করেছি। সেই সুবাদে আমি নিজের এবং আমার মাধ্যমে কিছু গ্রাহকের টাকা নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড এ আমানত রেখেছি, এই ইমামতির সুবাদে আমার পূর্ব পরিচিত ও মুসল্লী খাদেমুল
ইসলাম, আমার সাথে হালাল পন্থায় কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে টাকা রাখার ইচ্ছা পোষণ করে, এবং নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড সম্পর্কে আমার কাছে তথ্য জানতে ইচ্ছা পোষণ করে, তখন আমি তাকে নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে বলি। তিনি খোঁজখবর নিয়ে নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড এর গ্রাহকদের সাথে কথা বলেন, তাদের স্বচ্ছতা ও দ্বীনদার ব্যক্তিদের
সমন্বয়ে আমানত দারিতায় আশ্বস্ত হয়ে স্বেচ্ছায় নিউ বসুন্ধরায় টাকা রাখতে ইচ্ছা পোষণ করেন। এবং আমার শরণাপন্ন হন, আমার মাধ্যমে নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিউ বসুন্ধরা রিয়েক্টেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান সাহেবের সঙ্গে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে মালিক এবং গ্রাহক চুক্তিপত্র করে টাকা জমা রাখেন। এবং পরবর্তীতে কয়েক মাস মূল টাকার লভ্যাংশ
গ্রহণ করে, কিন্তু হঠাৎ করে নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের মালিক আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান সাহেব দুদকের মামলায় কারাবন্দি হলে লভ্যাংশের টাকা পাওয়া বন্ধ হয়ে যায়, তখন খাদেমুল এবং তার পরিবার আমাকে অত্র টাকা ফেরত দিতে চাপ সৃষ্টি করে, কিন্তু টাকা তো তারা সরাসরি নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড এ জমা রেখেছে,সুতরাং আমি নিউ বসুন্ধরা লিমিটেডের মধ্যস্থতাকারী মাত্র, এখন আমি
তাদের টাকে ফেরত দিবো কি করে?এতো টাকা ফেরত দেওয়ার মতন আর্থিক সঙ্গতি আমার নাই। তথাপিও আমি তাদেরকে বুঝাবার চেষ্টা করেছি, এবং নিউ বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের টাকা পরিশোধের ব্যাপারে যোগাযোগ রক্ষা করি। একান্ত নিরুপায় হয়ে কয়েক দফা নিজের পকেট থেকে খাদেমুলকে টাকা প্রদান করি। কারণ আমি কারো সাথে প্রতারণা করে কারো টাকা আত্মসাৎ করি
নাই, আমি হলফ করে বলতে পারি আমি চাই আমার ব্যক্তি টাকা এবং আমার গ্রাহকদের জামানো নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের কাছে রাখা আমানত গ্রাহকগণ যথাযথভাবে ফেরত পায় আমি সেই চেষ্টা করছি। যার জন্য মানববন্ধন করেছি, স্বাড়ক লিপি প্রদান করেছি, সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার চেষ্টা করেছি, তথাপিও তারা আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ সৃষ্টি করে আমার আর আমার পরিবার কেভীত সন্ত্রস্ত করছে, আমি এমন তাবস্থায়ী প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আমার এবং আমার পরিবারের জনজীবনের নিরাপত্তা কামনা করছি, এবং গ্রাহকদের এই টাকা ফেরত পেতে ঊর্ধ্বতন মহলের আন্তরিকতা কামনা করছি।