রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত কয়েকদিন ধরে চলা অস্থিরতার মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করলে রাবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ও কর্মচারীরা তাদের ধাওয়া করে। এতে ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যায় মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভিসির কর্মদিবস শেষ হওয়ার আগে বাণিজ্যের মাধ্যমে চাকরি দেয়ার চেষ্টা করছেন। এমন খবরে রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বেলা ১২টার দিকে চাকরি প্রত্যাশী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়। এসময় মহানগর ছাত্রলীগ সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সেকশক অফিসার মাসুদের উপরও হামলা চালান। পরে রাবি ছাত্রলীগ এগিয়ে এলে তাদের উপরও হামলা চালান। এসময় রাবি ছাত্রলীগ সংগঠিত হয়ে ধাওয়া করলে মহানগর ছাত্রলীগেরর সাথে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে মহানগর ছাত্রলীগ পালিয়ে যান।
আরো জানা যায়, আজ রাবি ভিসি আব্দুস সোবহানের মেয়াদের শেষ দিন। তিনি চাকরি প্রত্যাশী ১২৫ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে নিয়োগ দিয়েছেন বলে প্রচার হলে মহানগর ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে হামলা করে। এ ঘটনার পরে রাবি ছাত্রলীগ ও কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। তারা ভিসির ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
জানতে চাইলে ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক সুলতানুল ইসলাম টিপু বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি উপাচার্য অবৈধভাবে ১২২ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। এতে মতনৈক্য হওয়ায় উভয় পক্ষের সংঘর্ষ হয়।’
নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা থাকা অবৈধ নিয়োগ সংক্রান্ত কোন বিষয়ের সাথে আমার সম্পর্ক নেই। নিয়োগ হয়েছে কি না সেটাও আমার জানা নেই।’
সংঘর্ষের বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও রিসিভ করেন নি। এ বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহানকে ফোন এবং মেসেজ করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।