রাজধানীর জুরাইনের ‘এস আহমেদ’ নামের একটি পেট্টোল পাম্পে এক কলেজছাত্রের শরীরে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে উঠেছে। এই ঘটনায় ওই পেট্রোল পাম্পের তিন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) সকালে এই ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্রের নাম রিয়াদ হোসেন (২০)। গুরুতর দগ্ধ রিয়াদকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।
পুলিশের হাতে আটক রিয়াদের সহকর্মীরা হলেন, মাহমুদুল হাসান ইমন (২২), ফাহাদ আহমদ পাভেল (২৮) ও শহিদুল ইসলাম রনি (১৮)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শ্যামপুর থানার এসআই মো. মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন।তিনি বলেন, রাতে রিয়াদসহ চারজন অপারেটর ওই পেট্রোল পাম্পে ডিউটিতে ছিলেন।
“ভোরের দিকে রিয়াদের শরীরে পেট্রোল ঢেলে সহকর্মীরা আগুন ধরিয়ে দেয়। কী কারণে এবং কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে তা জানা সম্ভব হয়নি। গ্রেপ্তারকৃতরা বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছে। রিয়াদ কথা বলার মতো অবস্থায় নেই।”
রিয়াদের শরীরের ৩৬ শতাংশ পুড়ে গেছে জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, তার শরীরের নিচের অংশ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জুরাইনের কমিশনার রোডে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন রিয়াদ। তার বাবা ফরিদ মিয়া গাড়িচালক। দুই ভাইয়ের মধ্যে রিয়াদ বড়। এ বছর এইচএসসি পাশ করে সিদ্ধেশ্বরী কলেজে অনার্সে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।