রাজধানীর কলাবাগান থেকে চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমান লিপির রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার বিকালে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ডিবি রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আজিমুল হক। তিনি বলেন, ‘সাবলেটে থাকা এক শিক্ষার্থী, তার এক বন্ধু, বাড়ির দারোয়ান ও এক কাজের মেয়েকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’
সোমবার (৩১ মে) দুপুরে রাজধানীর কলাবাগান এলাকার ৫০/১ নম্বর ফার্স্টলেনের বাসা থেকে কাজী সাবিরা রহমান লিপির লাশ উদ্ধার করা হয়।
সাবিরার মামাতো ভাই মো. রেজাউল হাসান গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমাদের মনে হচ্ছে এটি একটি হত্যাকাণ্ড। বিষয়টিকে অন্যদিকে ডাইভার্ট করার জন্য আগুনের ঘটনা সাজানো হয়েছে। আমরা এখনো কাউকে সন্দেহ করছি না। তদন্তের পর পুলিশ বিস্তারিত বলতে পারবে।’
ডিবি সূত্র জানায়, ডা. সাবিরা দুটি বিয়ে করেছিলেন। তার প্রথম স্বামী চিকিৎসক ছিলেন। তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। পরে সাবিরা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সাবিরার দ্বিতীয় স্বামী সামসুদ্দিন আজাদ একটি বেসরকারি ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তবে দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গেও বনিবনা ছিল না তার। সাবিরার আগের স্বামীর ঘরে ২১ বছরের এক ছেলে এবং দ্বিতীয় স্বামীর ঘরে ১০ বছরের এক মেয়ে আছে।