রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গাড়ি পোড়ানোর পেছনে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠন যুবদলের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে দাবি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। ইতোমধ্যে বাস ও সরকারি যানবাহন পোড়ানোর ঘট্নায় দায়ের করা ১৩টি মামলায় ২৮ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। তাদের আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডেও নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) দুপুর থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যে রাজধানীর বেশ কয়েকটি স্থানে বাস পোড়ানোর ঘটনা ঘটে। এরপর বিকেলেই বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরীর একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়।
ওই কল রেকর্ডে বাসে আগুন দেয়ার বিষয়টি নিতাই রায়কে টেলিফোনে জানাতে শোনা যায় এক নারীকে। ফরিদা পরিচয় দেয়া ওই নারীর কণ্ঠ বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের বলে দাবি তদন্ত সংশ্লিষ্টদের।
ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলছে, রাজধানীর বেশ কয়েকটি জায়গায় হঠাৎ বাসে আগুন দেয়ার ঘটনায় একটি কল রেকর্ড পেয়েছি আমরা। সেগুলো বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। যারা কথা বলেছেন তাদের পরিচয় জানতে কাজ করা হচ্ছে। কল রেকর্ড আর আগুনের ঘটনার সঙ্গে কথোপকথনের মিল রয়েছে।
কথোপকথনে যা আছে-
নারীকণ্ঠ : আমি ফরিদা বলছি, পার্টি অফিসে আটকা পড়েছিলাম এতক্ষণ। গাড়ি পুড়িয়েছে ছেলে-পেলে। ১১টার সময় প্রেস কনফারেন্স হলো, এখন তো এখানে আটকা পড়ে দেরি হয়ে গেলো।
নিতাই রায় চৌধুরী : গাড়ি পোড়ানো হয়েছে? কোন জায়গায়?
নারীকণ্ঠ : পার্টি অফিসের সামনে। সব গাড়ি পুড়িয়েছে। পুলিশ-র্যাব এসে পার্টি অফিস ঘেরাও দিয়ে রেখেছে।
নিতাই রায় চৌধুরী : কোন গাড়ি পুড়িয়েছে?
নারীকণ্ঠ : স্টাফ গাড়ি থাকে না, পুলিশের স্টাফ গাড়ি, ওগুলোর মধ্যে আগুন দিয়েছে।
নিতাই রায় চৌধুরী : কয়টা গাড়ি?
নারীকণ্ঠ : যুবদলের ছেলেরা আগুন দিয়েছে।
নিতাই রায় চৌধুরী : কয়টা গাড়ি? একটা গাড়ি?
নারীকণ্ঠ : একটা গাড়ি।
বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় থানা পুলিশ ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়া এজাহারনামীয় অন্যান্য পলাতক অভিযুক্তদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রেখেছে থানা পুলিশের একাধিক টিম।





