রাজধানীর মোহম্মদপুর নবোদয় হাউজিংয়ের একটি টিনশেড বাসায় আগুন লেগে শিশুসহ একই পরিবারের তিন জন দগ্ধ হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ মে) দিনগত রাত পৌনে ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন- মো. সোহেল (৩৫), তার স্ত্রী লাবনী আক্তার হাওয়া (২৫) ও ২ বছরের ছেলে সন্তান মো. মোসালিন।
তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া রুপা আক্তার বলেন, রাত ৩টার দিকে তাদের রুম থেকে চিৎকার শুনতে পাই। পরে আমরা ঘুম থেকে উঠে তাদের রুমের সামনে গিয়ে দেখি ভেতর আগুন জ্বলছে, সোহেল ও লাবনী রুমের বাইরে, তাদের শরীরেও আগুন জ্বলছিলো। আর বাচ্চাটি রুমের ভেতরেই ছিলো। তখন আমরা বাচ্চাটিকে রুম থেকে বাইরে বের করি। এরপর তাদের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
তিনি আরো বলেন, সোহেল বেকার। আর তার স্ত্রী অন্যের বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করে। তাদের আরেক বড় মেয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকে। নবোদয় হাউজিংয়ের সি ব্লকের ২ নম্বর টিনশেড বাড়িতে ভাড়া থাকতো তারা। দুই মাস আগে তারা এই বাসায় ভাড়া উঠে। কিভাবে এই আগুন লেগেছে তা আমরা বলতে পারছি না। তবে মশার কয়েল থেকে আগুন লাগতে পারে।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার মাহফুজ রিবেন বলেন, পৌনে ৩টার দিকে আমরা আগুন লাগার খবর পাই। এরপর আমাদের মোহাম্মাদপুর স্টেশনের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু তারা যাওয়ার আগেই আগুন নিভে গেছে। আগুনে দগ্ধ একই পরিবারের তিন জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি জানান, জানা গেছে গ্যাস লাইন লিকেজ হওয়ায় রুমের ভেতর জমাট গ্যাস মশার কয়েলের সংস্পর্শে এসে এই আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনে তিন জন দগ্ধ সহ গৃহস্থালি মালামালও পুড়ে গেছে।
বার্ন ইনস্টিটিউটের দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান, সোহেলের শরীরে ৭৫ শতাংশ দগ্ধ, লাবনীর ৩০ ও মোসালিন ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।