রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনার পেছনে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দৃষ্টি আকর্ষণের উদ্দেশ্য রয়েছে বলে মনে করছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এ ক্ষেত্রে সরকারের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি।
শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, জো বাইডেন নির্বাচিত হওয়ার পরে সবাইকে ফোন দিয়েছে কিন্তু শেখ হাসিনাকে ফোন দেয় নাই। জো বাইডেনের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য গতকালের বাস পোড়ানো। তিনি (হাসিনা) বোঝাতে চেয়েছেন এ দেশে সন্ত্রাস আছে। এই সন্ত্রাস দমন করতে হলে তাকে দরকার।
তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও বাড়ি পোড়ানোর ঘটনা গণতান্ত্রিক দেশে ঘটতে পারে না। সংখ্যালঘু কয়েকজন নেতা আলেমদের বিরুদ্ধে অপবাদ দিয়েছেন। এটা অবশ্যই সরকারের খতিয়ে দেখা উচিত। এটা বাংলাদেশের গোয়েন্দা কাহিনী না, এটা ভারতের র’দের কাহিনী।
তিনি আরও বলেন, আজকের আলোচকরা বলছেন __বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে কবরে সমাহিত করা হয়েছে। আমরা অপেক্ষায় আছি— এটাকে আল্লাহু আকবার বলব নাকি হরিবোল বলে মাটিচাপা দেবো, না আগুনে পোড়াব।
এটা থেকে মুক্তি পেতে হলে গণতন্ত্রকে কবর থেকে ওঠাতে হবে। আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে রাস্তায় নামতে হবে। সরকারের এই দিন সবসময় থাকবে না।
নয়াদিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সুকোমল বড়ুয়া, কবি আবদুল হাই শিকদার, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আমিন রোকন, মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, ডিইউজের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাকের হোসাইন প্রমুখ।