স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম স্বপ্নদ্রষ্টা, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের রূপকার, কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ে সদা সোচ্চার মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী (রহ.) এর ৪৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর রূহের মাগফিরাত কামনায় ইশা ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ টাঙ্গাইলের সন্তোষস্হ তাঁর কবর জিয়ারত ও বিশেষ দোয়া করেন।
মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী (রহ.) একজন দেওবন্দী আলেম ছিলেন। ভাসানী দেওবন্দী, তবে দেওবন্দ থেকে পাস করা আলেম অর্থে না বরং তার চেয়ে বেশি। তিনি দেওবন্দী রাজনৈতিক ঐতিহ্য ধারণ করেন। দারুল উলুম দেওবন্দের প্রথম ব্যাচের ছাত্র শায়খুল হিন্দ মাওলানা মাহমুদুল হাসানের (রহ.) কাছে শাহ ওয়ালীউল্লাহ দেহলভীর (রহ.) রাজনৈতিক ও দার্শনিক দীক্ষা নিয়েছেন তিনি। দেওবন্দ ঔপনিবেশিক পরাধীনতা এবং পাশ্চাত্যের প্রতি মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে অধীনস্থ থাকার বিরুদ্ধে লড়াই করার আত্মিক শক্তি অর্জনের পথ দেখাবার প্রতিশ্রুতি দিয়েই যাত্রা শুরু করেছিল। এই প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়েছেন তিনি। ইসলাম ঔপনিবেশিকতা ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়ার আত্মিক ও রাজনৈতিক শক্তি হয়ে উঠতে পারে এটা তাঁর মনে দৃঢ়মূল হয়ে গিয়েছিল।
তিনি চেয়েছেন হুকুমতে রব্বানিয়া- প্রতিপালনের গুণ সম্পন্ন এমন এক শাসন ব্যবস্থা যার প্রাথমিক কর্তব্য হচ্ছে সকলকের লালন পালন নিশ্চিত করা । ধর্ম, বর্ণ, জাতি, লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলকে মহান আল্লাহ তায়ালা লালন পালন করেন। বিধর্মী বলে কারো জন্য আলো, বাতাস, খাদ্য, পানি বন্ধ করেন না। সেটা করে জালিম, তার কোন ধর্ম নেই। জালিমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ন্যায় সংগত । মানুষের রিজিক বা জীবনধারণের শর্তের উপর হস্তক্ষেপ করা ইসলাম বরদাশত করে না । মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী (রহ) এই সহজ রাজনীতির দিক্ষা দিয়ে গেছেন। তিনি হুকুমতে রাব্বানিয়া চেয়েছেন, কোন কেন্দ্রীভূত ক্ষমতাসম্পন্ন বুর্জোয়া কিংবা সোভিয়েত কিংবা চীনা মডেলের রাষ্ট্র না।
উক্ত জিয়ারত ও দোয়ায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক এম এম শোয়াইব, কওমী মাদ্রাসা সম্পাদক নুরুল বশর আজিজী , শূরা সদস্য মুহা. আব্দুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইল জেলা সভাপতি মুহা. কামরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মুহা. সাদিকুল ইসলাম , পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।