আল আমিন ভোলা প্রতিনিধিঃ- বিরোধী দল ও মতের কোন তোয়াক্কা না করে সরকার একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে
যাচ্ছে। এ জন্য মানবতাবাদী নেতা পীর সাহেব চরমোনাই জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করে আসছেন। তিনি অবৈধ সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচেনর দাবি জানান। এককতরফা প্রহসনের
নির্বাচন বাতিল ও অবৈধ পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া এবং নির্বাচন বর্জনের দাবিতে ভোলায় ইসলামী আন্দোলনের গণসংযোগ ও প্রচার মিছিল অনুষ্ঠিত। আজ শনিবার ৩০ই ডিসেম্বর বিকাল ৩টায় ভোলা শহরের উকিল পাড়া মসজিদ চত্ত্বর থেকে নির্বাচন বর্জনের লক্ষ্যে গণসংযোগ
অনুষ্ঠিত হয়। জেলা সভাপতি মাওলানা আতাউর রহমান মোমতাজীর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মাওলানা তরিকুল ইসলাম তারেক এর সঞ্চালনায় গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন জেলা সহ সভাপতি মাওলানা ওবায়েদ বিন মোস্তফা,সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ইউসুফ আদনান,
প্রচার সম্পাদক মাওলানা হেলাল উদ্দিন জয়নগরী, দপ্তর সম্পাদক এইচ এম ইব্রাহিম খলিল, ভোলা সদর থানা সেক্রেটারি মুফতি ইমরান, যুব আন্দোলন জেলা সভাপতি মাওলানা শোয়াইব আহমেদ, ছাত্র আন্দোলন জেলা সহ-সভাপতি এইচ এম হাবিবুল্লাহ প্রমুখ এসময় নেতৃবৃন্দ
বলেন, সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে মরিয়া হয়ে উঠছে। আমরা বারবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) বলেছি এই একতরফা নির্বাচন থেকে সরে আসার কথা বলে আসছি। কিন্তু তিনি অধিকাংশ মানুষের মতামতের কোনো তোয়াক্কা করেননি। বিরোধী মতের মানুষ
আজ ঘরে ঘুমুতে পারছে না। পুলিশ বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে কার্যত পুরো দেশকে কারাগার বানিয়ে ফেলছে। ৭ তারিখের একতরফা ও পাতানো নির্বাচনে দেশের শান্তিকামী, মুক্তিকামী জনতা ভোট কেন্দ্রে যাবে না। আওয়ামী ডামি নির্বাচনে কেউ ভোট দেবে না। তামাশা দেখার
জন্য কেউ রাস্তায়ও বের হবে না। তারা আরও বলেন,সরকার ধোকাবাজির নির্বাচন করছে। নির্বাচন নিয়ে বিশ্ববাসী ধিক্কার জানাচ্ছে। নৌকার প্রার্থী, স্বতন্ত্র প্রার্থী, ডামি প্রার্থী সবই আওয়ামী লীগ। এভাবে ডামি নির্বাচন দিয়ে বিশ্ববাসীকে সরকার ধোকা দিচ্ছে। নির্বাচন নির্বাচন খেলা বন্ধ
করুন। দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, অধিকাংশ মানুষ সরকারের প্রহসনের নির্বাচন মানে না, তারা এই নির্বাচন চায় না। আমরাও এই প্রহসনের নির্বাচন চাই না। আমরা একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূল নির্বাচন চাই। যে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা হবে, মানুষ ভাত ও ভোটের অধিকার ফিরে পাবে।






