রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) জটিলতায় বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও ভোট দিতে না পেরে ভোটাররা বিমুখ হয়ে ফিরে গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে তিনি মৌখিকভাবে এসব অভিযোগ করেন।
সেখান থেকে বের হয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা সাংবাদিকদের বলেন, আমরা মনে করেছিলাম ইভিএমে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট প্রদান করতে পারবো। কিন্তু আমরা যখন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গেলাম তখন জানতে পারলাম ইভিএমে ত্রুটি। ফিঙ্গার প্রিন্ট দিলে প্রিন্ট আসছে না, উনারা (নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা) বলছেন কিছু সমস্যা হওয়ার কারণে দীর্ঘ লাইন হয়েছে। যেমন কোনো কেন্দ্রে ৮টি বুথ আছে, সেখানে ২টি বুথে সমস্যা। এমনকি সকালে আমি আমার কেন্দ্রে নিজেই ইভিএমের ক্রটির মধ্যে পড়েছি। প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটের লাইনে বয়স্ক পুরুষ-মহিলা লাইনে অপেক্ষা করতে করতে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। এতে করে ভোট কাস্ট কম হবে।
আগের নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে মেয়র প্রাথী মোস্তফা বলেন, আগের ভোটে বিকেল ৩টার মধ্যে ৭০-৭৫ শতাংশ ভোট পোল হয়ে যেত। এতক্ষণ কেন্দ্রে ভোটার থাকতো না। কিন্তু এবার ইভিএমের জটিলতার কারণে ভোট কাস্ট কম হবে। এতে আমি যা আশা করেছিলাম আমার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান অনেক বেশি হবে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে ভোট কাস্ট কম হওয়ায় হয়তো ভোটের ব্যবধান কম হবে।
তিনি আরও বলেন, অনেক ভোটারদের স্মার্ট কার্ড থাকার পরও তারা ভোট দিতে পারছেন না। আমরা এখানে বলতে এসেছি যে, ভোট কাস্টিং কম হবে। আমাদের যে প্রত্যাশা, আমরা যেভাবে কাজ করেছি, মানুষজন পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবে তা তারা দিতে পারছেন না। এই অভিযোগটি জানাতেই নির্বাচন অফিসে এসেছি।