ভাস্কর্য নিয়ে হইচই করে মাঠ গরম করা যাবে না । বর্তমানে কিছু লোক ভাস্কর্য নিয়ে হইচই শুরু করেছেন। তাহলে তারা এটাও বলুক ছবি তোলা যাবে না। ছবি না তোলা গেলে পাসপোর্ট ভিসা এমনকি হজও করা যাবে না। হজের বিরুদ্ধে তারা ফতোয়া দিক। এরা হলো মতলববাজ। আবার এরাই এক সময় বলবে নারীদের লেখাপড়া করানো যাবে না। শেরপুরে এসব মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি।
বুধবার ( ২৫ নভেম্বর ) শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার কেন্দুয়াপাড়া মাদরাসা মাঠে শিশু শিক্ষার্থী ও বিশেষ শ্রেণিপেশার মানুষের মাঝে সৌরবাতি বিতরণকালে এ কথা বলেন তিনি।
এসময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আরও বলেন, ইরান, ইন্দোনেশিয়ায় ভাস্কর্য আছে। পাকিস্তানে স্ট্যাচু আছে। পাকিস্তানের নোটে জিন্নাহ সাহেবের ছবি আছে। এসব নোট পকেটে নিয়ে তারা তাহলে নামাজ পড়ে কিভাবে ? এসব গোমরাহ কথা বাদ দিয়ে আসুন সবাই মিলে দেশটাকে সুন্দর করে গড়ে তুলি।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, খালেদা জিয়ার খোলা চুলের ব্যাপারে কোনো কথা নেই, ফিনফিনা শাড়ির ব্যাপারে ফতোয়া নেই। অথচ আমাদের নেত্রী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। তিনি দিনের শুরুটা করেন আল্লাহর প্রার্থনার মধ্য দিয়ে। কাজেই তর্ক করে বেশি গোমরা পথে যাব না। এ সমস্ত গোমরা পথে যারা নিতে চায় তারা মতলববাজ।