২০২০ সালে ভারতে করোনা ছড়ানোর জন্য অনেকে তাবলিগ জামায়াতকে দায়ী করেছিলেন। আর এখন সবাই সেই তাবলিগ জামায়াতের প্রশংসা করছে।
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপাটি শহরের তাবলিগ জামায়াতের সক্রিয় সদস্য গাউস। সমমনা লোকদের নিয়ে তিনি গড়ে তুলেছেন কোভিড-১৯ জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি। তিরুপাটি ইউনাইটেড মুসলিম অ্যাসোসিয়েশনের অধীনস্ত একটি সংগঠন এটি। তাদের লক্ষ্য হলো- করোনায় মৃতদের সৎকারসহ মানুষকে বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা করা।গাউস প্রতিদিন ৬০ জন স্বেচ্ছাসেবীকে নিয়ে কাজ করছেন। গাউস বলেন, গত এপ্রিলে প্রতিদিন অন্তত ১৫ জনের সৎকার করেছি আমরা। সেটাও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে।
তিনি আরও বলেন, ৬০ জন সদস্যকে তিন দলে ভাগ করেছি। প্রতি টিম প্রতিদিন অন্তত চার-পাঁচ জনের দেহ সৎকার করছে। আমরা মৃতের ধর্ম রীতি অনুসারে সৎকার করছি। মৃত ব্যক্তি হিন্দু হলে আমরা এক টুকরো কাপড় ও ফুল রাখছি। আর খ্রিস্টানদের মরদেহ কফিনে রাখি এবং গির্জায় প্রার্থনার আয়োজন করি। মুসলিম মৃতদের ক্ষেত্রে আমরা জানাজার নামাজ পড়ছি।
এখন পর্যন্ত ৫৩৬ জনের সৎকার করেছে তাদের সংগঠন। তাদের মধ্যে করোনার প্রথম ধাক্কায় ১৩৪ জন এবং অবশিষ্ট চলমান দ্বিতীয় তরঙ্গের সময়।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের এপ্রিলে ভারতের দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকায় একটি মসজিদে তাবলিগ জামায়াতের প্রায় দুই হাজার মানুষ একসঙ্গে অবস্থান করায় বেশ বিতর্কের সৃষ্টি হয়। সে সময় দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জমায়েতের এই এলাকাকে করোনাভাইরাসের ‘হটস্পট’ বলে চিহ্নিত করে। সূত্রঃ বিডি প্রতিদিন