ডিজিটাল জালিয়াতি ও অবৈধ পন্থায় ভর্তির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি একই অভিযোগে দুইজনকে সাময়িক বহিষ্কার ও কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যায়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারনী ফোরাম সিন্ডিকেট।
গত রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় একাডেমিক পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে অধিভুক্ত সাত কলেজের ৫ শিক্ষার্থীকেও আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানান অধ্যাপক গোলাম রব্বানী।বিজ্ঞাপন
অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, ‘ভর্তি জালিয়াতি ও একাডেমিক পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে সর্বমোট ১২ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিন্ডিকেট। এদের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে জালিয়াতির দায়ে ৭ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।’
গতকাল অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় আরও ১৫১ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ডিজিটাল জালিয়াতি ও অবৈধ পন্থায় ভর্তির করণে স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের মাকসুদুর রহমান (ফজলুল হক মুসলিম হল), আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের রিজন আহমেদ (কবি জসীমউদ্দীন হল), ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আয়েশা আক্তার তামান্না (বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল), ফিন্যান্স বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শাহ মেহেদী হাসান (কবি জসীমউদ্দীন হল), ইতিহাস বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মুহাইমিনুল ইসলাম (স্যার এএফ রহমান হল), দর্শন বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের আশরাফুল আলম (শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষের মো. শাহেদ আহমেদ (অমর একুশে হল)।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৩ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ জন শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন এবং পাবলিক পরীক্ষা আইনে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।