দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশের কওমী মাদরাসাসমূহের সর্ববৃহত শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের অন্যতম প্রবীন আলেম যাত্রাবাড়ি মাদরাসার মুহতামিম আল্লামা মাহমুদুল হাসান। (শায়খে যাত্রাবাড়ি)।
আজ শনিবার (৩ অক্টোবর) বেফাকের পূর্ব নির্ধারিত আমেলা মিটিংয়ে সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে তিনি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নির্বাচিত হন।
বেফাকের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির সাথে সাথে সাথে তিনি গঠনতন্ত্র অনুসারে কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য সরকার গঠিত সংস্থা আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়ারও চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।
বেফাকের প্রধানই হাইয়াতুল উলয়ার চেয়ারম্যান হবেন। গঠনতন্ত্রে এমনটাই রয়েছে। আজ যাত্রাবাড়ির কাজলার ভাঙ্গাপ্রেস এলাকায় বেফাকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আমেলা মিটিংয়ে প্রায় ১২৫ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তাদের অধিকাংশেরই প্রত্যক্ষ ভোটে তিনি নির্বাচিত হন। তিনি ৬৬ ভোট পেয়ে জয় নেন। লিখিত ভোটে তিনি জয়ী হয়েছেন।
পরবর্তিতে কাউন্সিলের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ সভাপতি নির্বাচনের বিষয়টি সম্পন্ন করা হবে বলেও জানিয়েছে বেফাকের একটি সূত্র। তবে কবে নাগাদ শুরা সদস্যদের উপস্থিতি কাউন্সিল ডাকা হবে সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানা যায়নি।
এছাড়াও সভাপতি হিসেবে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী ও নামও প্রস্তাবনায় এসেছিলো। কিন্তু রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতাসহ গঠনতন্ত্রের নিয়ম কানুনের বিভিন্ন জটিলতায় তারা নির্বাচিত হতে পারেননি। এছাড়াও আমেলা সদস্যদের সমর্থনও একটি বিষয় ছিলো।
তবে বেফাকের সার্বিক উন্নতি ও বিভিন্ন অনিয়ম বিষয়ে সবাই মিলে সুষ্ঠু সমাধান করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছেন আমেলা মিটিংয়ে। ভারপ্রাপ্ত সভাপতিকেও সবাই সার্বিক সহযোগিতার পূর্ণ আশ্বাস দিয়েছেন।
অপরদিকে বেফাকের মহাসচিব ও কো-চেয়ারম্যান পদ নিয়েও আমেলা বৈঠকে বেশকিছু আলোচনা হয়েছে। বেফাকের গঠনতন্ত্র ও নিয়ম মেনে এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসা হবে বলেও জানা গেছে।
তবে সদ্য নির্বাচিত ভারপ্রাপ্ত সভাপতির সামনে একটি সংকটকালীন সময় রয়েছে বলেই ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে বেফাকে প্রশ্নফাঁস, বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে প্রকাশিত কল রেকর্ড ও বিভিন্ন বিষয়ে বেফাকের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করা ও এসব বিষয়ে লবিং ও গোষ্ঠিতন্ত্র নিয়ন্ত্রণের একটি চ্যালেঞ্জ তার সামনে থেকেই যাবে।