রাজধানীর আজিমপুর স্টাফ কোয়ার্টারে রুমানা ইয়াসমিন নামে আনসার বাহিনীর এক সহকারী পরিচালকের ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া গেছে। পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যাকাণ্ড সেটি তদন্ত করে দেখবে পুলিশ। । শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শনিবার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রুমানার এক আত্মীয় জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী রুমানা। তার গ্রামের বাড়ি বগুড়ায়। সম্প্রতি বিয়ে নিয়ে পরিবারের সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।
জানা গেছে, রুমানা ৩৭তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে আনসার বাহিনীর সহকারী পরিচালক হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। গত বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) গাজীপুরে ট্রেনিং শেষে আজিমপুর স্টাফ কোয়ার্টারের বাসায় ফেরেন রুমানা। ওই বাসায় রুমানা ও তার ছোট বোন এক সঙ্গে থাকতেন। শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিয়ের দাওয়াতে বাসার বাইরে থাকা ছোটবোন রুমানাকে কল দিলে কোন সাড়া পাননি। পরে প্রতিবেশীকে ফোন দেয়া হলে তারা জানায়, ঘরের ভেতর রুমানার কোন সাড়া-শব্দ পাওয়া যাচ্ছে না। পরে আরেক প্রতিবেশী এসে ঘরের দরজায় ধাক্কা দিয়ে দেখেন রুমানার দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। অচেতন অবস্থায় রুমানাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।