৪০০ রানের লিড ছাড়িয়ে লাঞ্চবিরতি বিরতিকে গিয়েছিল শ্রীলংকা। বিরতির দুই ওভার আগে ৬ষ্ঠ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
আর লাঞ্চবিরতির পর মাঠে নেমেই ৩ উইকেট হারাল শ্রীলংকা। সুরেঙ্গা লাকমাল আউট হওয়ার সঙ্গেসঙ্গে অলআউটের তকমা জুড়তে চাইলেন না লংকান অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে।
ইনিংস ঘোষণা করে দিলেন। অর্থাৎ ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রানে থামল শ্রীলংকা। সে হিসেবে গতকালের ২৪২ রান যোগ করে শ্রীলংকা লিড পেল ৪৩৬ রানে।
গতকালই ৪০০ রানের লিড নেওয়ার পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছিল শ্রীলংকা শিবির থেকে। আর সেই পরিকল্পনায় সফল স্বাগতিকরা।
এজন্য আজ দিনের শুরু থেকেই মারমুখী খেলেছেন লংকান ব্যাটসম্যানরা। স্কোরবোর্ডে ১৯৪ রান জমা করতে শ্রীলংকা খেলেছে ৪২.২ ওভার। শেষ ১০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়েছে দলটি। কিন্তু রান জমা করেছে ৬৩!
চতুর্থ দিন সকালে ৪টি উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান তুলে স্বাগতিকরা। লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত তাদের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ১৭২ রান ও লিডের পরিমাণ ৪১৪ রান।
সকালে ২ উইকেটে ১৭ রান নিয়ে চতুর্থ দিন মাঠে নামে শ্রীলঙ্কা। অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ছিলেন ক্রিজে। সকালে ২২ রান যোগ হতেই তাইজুল ইসলামের বলে শর্ট লেগে ইয়াসির আলির তালুবন্দী হয়ে ফেরেন ম্যাথিউস।
চতুর্থ উইকেটে দ্রুত রান তোলেন করুনারত্নে ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। ৭৩ রানের জুটি গড়েন তারা। করুনারত্নেকে শিকার করে এই জুটি ভাঙেন পার্টটাইমার বোলার সাইফ হাসান।
হঠাৎ করেই সাইফ হাসানের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। এ যেন বাজি ধরলেন মুমিনুল। বাজিতে জিতেও গেলন। নিজের তৃতীয় ওভারেই লংকান অধিনায়ককে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন সাইফ।
আউট হওয়ার আগে ৭৮ বলে ৬৬ রান করেন লংকান অধিনায়ক।
করুণারত্নের পর বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি ধনঞ্জয়াও। তাকে ঘূর্ণিজালে পরাস্ত করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
২৯.৪ ওভারে মিরাজের বলে ব্যাট চালাতে গিয়ে স্লিপে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ধরা পড়েন ধনঞ্জয়া। আউট হওয়ার আগে ৫২ বলে ৪১ রান করেন এ অলরাউন্ডার।
ষষ্ঠ উইকেটে পাথুম নিশাঙ্কা ও নিরোশান ডিকভেলা দ্রুত রান তুলতে শুরু করেন। তাদের ৪৪ বলে ৩৮ রানের জুটি ভাঙেন তাইজুল।
৩৬তম ওভারে তাইজুলের করা শেষ বলে মিডঅনের ওপর দিয়ে উঁড়িয়ে মারেন নিশাঙ্কা। কিন্তু তা মিডঅন ক্লিয়ার করতে পারেনি। কয়েক কদম দৌড়ে গিয়ে বলটি তালুবন্দি করেন ফিল্ডার শরিফুল। সমাপ্তি ঘটে নিশাঙ্কার ৩১ বলে ২৪ রানের ইনিংসের।
আর বিরতির পর মাঠে ফিরেই টপাটপ দুটি উইকেট শিকার করল বাংলাদেশ। ফের ওই একটাই নাম তাইজুল। তবে তার আগে চতুর্থ দিনের প্রথম সাফল্য দেখেন পেসার তাসকিন।
২৫ বলে ২৪ রানে ব্যাট করা ডিকভেলাকে ফেরান। এখানেও তাইজুলের অবদান। বিরতির পর ফিরে প্রথম ওভারটি করেন তাসকিন।
৩৯.৫ ওভারের পঞ্চম বলটি উড়িয়ে মেরে ডিপ স্কয়ার লেগে তাইজুলের হাতে ধরা পড়েন ডিকভেলা।
এরপর নিজেই বল করতে আসেন তাইজুল। প্রথম ওভারেই পান সাফল্য। এবার তাইজুলের শিকার রমেশ মেন্ডিস। তাইজুলের ডেলিভারিটি ভালোভাবে খেলতে পারেননি রমেশ। ধরা পড়েছেন পয়েন্টে দাঁড়ানো তামিম ইকবালের হাতে। ৮ রানে ফিরেছেন তিনি।
এরপর ফের লঙ্কান শিবিরে তাইজুলের আঘাত। এবার ১২ রানে ব্যাট করতে থাকা লাকমালের উইকেট ভেঙে দেন তাইজুল।
দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫টি উইকেট শিকার করেছেন তাইজুল। মিরাজ পেয়েছেন দুটি। একটি করে পেয়েছেন তাসকিন ও সাইফ। সূত্রঃ যুগান্তর।