গাজীপুরের টঙ্গীতে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক নারীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত স্বপ্না বেগম (৩৫) ঝালকাঠির মনোরঞ্জন রায়ের মেয়ে। তিনি টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকায় দুটি মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বাসা ভাড়া থাকতেন।
জিএমপির টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি জাবেদ মাসুদ জানান, গত কয়েক বছর আগে স্বপ্নার বিয়ে হয়। একপর্যায়ে স্বামীর সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। তার দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে। এর পর তিনি হিন্দু ধর্ম ছেড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। একপর্যায়ে টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকায় বাসা ভাড়া থেকে বিভিন্ন মেসে রান্নার কাজ করতেন তিনি।
ওই এলাকার এক ব্যক্তি তাকে মাঝেমধ্যে বিয়ের প্রস্তাব দিতেন। এতে তিনি সাড়া দিতেন না। একপর্যায়ে রোববার সকালে স্বপ্না রান্নার কাজে যাচ্ছিলেন। এ সময় রাস্তায় ওঁৎ পেতে ওই ব্যক্তি তার গতিরোধ করে। এ সময় তাকে আবারও বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এতে স্বপ্না রাজি না হওয়ায় তাকে ছুরিকাঘাত করে ওই ব্যক্তি পালিয়ে যায়।
এ সময় ঘটনাস্থলেই স্বপ্না মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহত গৃহবধূর ভাই হাসেম আলী জানান, প্রায় ১৪ বছর আগে স্বপ্নার সঙ্গে তুহিনের বিয়ে হয়। পরবর্তীতে সেই সম্পর্কের ইতি ঘটে। সেই ঘরে ১৩ বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। এর পর বোনের দ্বিতীয় বিয়ে হয় এলাকার মনিরের সঙ্গে। আবারও দ্বিতীয় বিয়ের ইতি ঘটে গত দুই বছর আগে। সেখানেও তিন বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
নিজ বাসায় রান্না করে বাড়িতে বাড়িতে খাবার বিক্রির পাশাপাশি বাসাবাড়িতেও কাজ করতেন। একই এলাকায় বসবাসকারী সাইকেল দোকানদার ইয়াজউদ্দিন (৭০) বিভিন্ন সময় রাস্তায় উত্ত্যক্ত করত স্বপ্নাকে।
একপর্যায়ে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে রাজি না হওয়ায় রোববার সকালে রাস্তায় প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় ইয়াজউদ্দিন।
এলাকাবাসী স্বপ্নাকে উদ্ধার করে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত হত্যাকারীকে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে পুলিশ।সূত্রঃ যুগান্তর