বিএনপি-জামায়াতের কাজই মানুষ পোড়ানো, নির্বাচন ধ্বংস করা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, নির্বাচিত ও গণতান্ত্রিক সরকার থাকলে উন্নয়ন হয়। ২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ক্ষমতায় আছি বলেই বাংলাদেশ উন্নত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জামালপুর, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, চাঁদপুর ও বান্দরবানে জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ৭৫ এর পর অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধ করার জন্য জনগণের অধিকার কেড়ে নেয়ার সংস্কৃতি চালু করেছিলো জিয়াউর রহমান। তখন স্বাধীনতাবিরোধীদের সমন্বয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিপরীত ধারায় চলতে থাকে দেশ।
তিনি আরও বলেন, ‘গ্যাস বিক্রির চক্রান্ত করে ক্ষমতায় এসে মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে বিএনপি। নির্বাচনবিরোধী কাজ করে চলেছে বিএনপি। মা-শিশুকে এমনভাবে হত্যা সহ্য করা যায় না। এরা সবসময় নির্বাচন বানচালের তালে থাকে। কিন্তু নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা সম্ভব হয় না, এটাই বাস্তবতা।’
উন্নত জীবনের ধারা অব্যাহত রাখা এবং নতুন প্রজন্মেকে নৌকায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর আগে যারা ক্ষমতায় ছিলো তারা দেশকে এগিয়ে নিতে পারেনি বরং পিছিয়ে দিয়েছিলো। একমাত্রই আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় আসলে অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে পারবে। নৌকায় ভোটের জন্য ঘরে ঘরে, দুয়ারে দুয়ারে যাবেন। ভোট চাইবেন, যেন নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে সেবা করার সুযোগ দেয়।
২০১৪ থেকে ২০১৮ সালে মানুষ ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছিলো বলেই, দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব হচ্ছে বলে জানান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই কেবল দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে পারবে। এবারের নির্বাচন নিয়ে জাতীয়-আন্তর্জাতিকভাবে অনেক চক্রান্ত হচ্ছে। তাই নির্বাচনী পরিবেশটা যাতে সুন্দর থাকে, উৎসবমুখর ও প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ হয়; সেই দিকে সবাই খেয়াল রাখবেন।