কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বুধবার রাজধানী ঢাকাসহ নারায়ণগঞ্জ জেলা, মহানগর, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, চাঁদপুর, লক্ষীপুর, বরিশাল জেলা, মহাগনগর, ভোলা উত্তর, পটুয়াখালী, বরগুনায় সকাল ১০টা থেকে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনসমূহে জেলা নেতৃবৃন্দ বলেন, এই ঘটনাকে সাধারণ কোনো দুর্ঘটনা নয় বরং; এটি একটি হত্যাকান্ড। আমরা অবহেলাজনিতভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটানোর কারণে বিআইডব্লিউটিএ‘র চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করছি। জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা এবং নিহতদের পরিবারকে সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবী জানাচ্ছি। এছাড়াও ভবিষ্যতে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান জেলা নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনগুলোতে বক্তারা আরো বলেন, প্রথম আলোর রিপোর্টে দেখা গেছে স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে মোট ২,৫৭৪টি নৌ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে প্রাণহানি ঘটে ২০,৫৪৪জন মানুষের। তন্মধ্যে ৯০১টি নৌযান উদ্ধারই করা হয়নি। যাতে মোট সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৩,৪১৭ কোটি ২০লাখ টাকা। এত বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে দুর্ঘটনা হয়েই চলেছে, মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলেছে কিন্তু সরকারগুলোর প্রায়োগিক কোনো পদক্ষেপ লক্ষ করা যায়নি। সেই মিছিলে আবার যুক্ত হলো মর্নিং বার্ড লঞ্চ দুর্ঘটনা। কিন্তু এবার আর ছাড় নয়, যদি সুষ্ঠু বিচার না হয় তবে কেন্দ্রের ঘোষণা সাপেক্ষে দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
ঢাকা জেলা দক্ষিণ আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন শাখা সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জে আয়োজিত পৃথক দুটি মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জেলা সভাপতি শিব্বির আহমাদ এবং নগর সভাপতি ইমদাদুল হক, মুন্সীগঞ্জে আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জেলা সভাপতি মুহাম্মাদ আল আমিন, শরীয়তপুরে আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জেলা সভাপতি ইলিয়াছ হোসাইন, চাঁদপুরে আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জেলা সভাপতি মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন, লক্ষীপুরে আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জেলা সভাপতি মুহাম্মাদ রাশেদুল ইসলাম, বরিশালে আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জেলা সভাপতি মুইনুল ইসলাম, নগর সভাপতি রেজাউল করীম, ভোলায় আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জেলা সভাপতি মুহাম্মাদ আবুল হাশেম, পটুয়াখালীতে আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জেলা সভাপতি ইলিয়াস আহমাদ এবং বরগুনায় আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জেলা সভাপতি আনিসুর রহমান।