তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রোজিনা ইসলাম যাতে ন্যায়বিচার পান, সেজন্য প্রথম থেকেই চেষ্টা করে এসেছি। তবে আপনাদের কাছে অনুরোধ জানাই, বিষয়টি ইমোশনালি না দেখে বাস্তবতার নিরিখে বিচার করার জন্য। আমি আপনি সবাই যে কোনো সময় ভুল করতে পারি। মানুষ মাত্রই ভুল করে। রোজিনা ইসলামও ভুল করতে পারেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করা মামলায় রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ‘চুরির চেষ্টার’ অভিযোগে গ্রেফতার সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম প্রসঙ্গে এ কথা বলেন তিনি।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) ও বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের নেতারা বৃহস্পতিবার সকালে মন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে তথ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেন। স্মারকলিপিতে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার, অবিলম্বে মুক্তি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে হেনস্তাকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তি দাবি করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী, সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাইনুল হাসান, নারীবিষয়ক সম্পাদক রীতা নাহার, বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তপন বিশ্বাস ও শামীম আহমেদসহ আরও কয়েকজন।
তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, কেউ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। সেটিও মাথায় রাখতে হবে। তবে তিনি যাতে ন্যায়বিচার পান, সেটি চেষ্টা করছি। আমি আপনাদের মন্ত্রী, আপনাদের মানুষ, সুতরাং আপনাদের দাবিগুলো সহানুভূতির সঙ্গে দেখে যতটুকু করা সম্ভব ততটুকু করার চেষ্টা আমার পক্ষ থেকে থাকবে। মন্ত্রী বলেন, নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি করার দাবির বিষয়টি নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করব।
রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ‘চুরির চেষ্টার’ অভিযোগে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের এক কর্মকর্তার কক্ষে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। পরে রাতে তাকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করে ব্রিটিশ আমলের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ও দণ্ডবিধির কয়েকটি ধারায় মামলা করে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। বুধবার মামলার তদন্তভার পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি।
তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রোজিনা ইসলাম। তার সহকর্মীরা বলেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন করায় তাকে হয়রানি করা হচ্ছে ব্রিটিশ আমলের এক আইন ব্যবহার করে। সচিবালয়ে আটকে রাখার সময় রোজিনাকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করা হয় বলেও অভিযোগ করেছে তার পরিবার। পুলিশ রোজিনাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করলেও মঙ্গলবার ঢাকার একটি আদালত তা খারিজ করে দেন। সূত্রঃ যুগান্তর