জাতীয় সংসদে পাস হওয়া ২০২০-২১ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের কপি ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্যরা।
বুধবার (০১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার সামনের সড়কে দাঁড়িয়ে বাজেটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান বিএনপির সংসদ সদস্যরা। এসময় দলের কয়েকজন সংসদ সদস্য একসঙ্গে বাজেটের কপি ছিঁড়ে ফেলেন।
সংসদীয় দলের নেতা হারুন অর রশীদ বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে এ ধরনের বাজেট কোথাও পাস হয়নি। মঙ্গলবার যে বাজেট পাশ হয়েছে তা অপ্রত্যাশিত, অকল্পনীয়। গত বাজেটের চেয়ে এই বাজেটে প্রায় ২৪ শতাংশ অধিক বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে। এটি অবাস্তব। এটা বাস্তবায়ন কোনোদিনই সম্ভব নয়। এটি আমরা প্রত্যাখান করছি।
তিনি বলেন, আজকে গোটা জাতি একটি সংকটের মধ্যে কিন্তু আমি যেটা উপলব্ধি করলাম সরকার এ সংকটের মধ্যে যারা সংকট নিরসনে কাজ করতে চায়, জাতিকে পরামর্শ দিতে চায়, তাদেরকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করছে। আজকে স্বাস্থ্যখাতের যে বেহাল দশা তার বিরুদ্ধে আমি কথা বলেছি। সংসদে দাঁড়িয়ে আমি প্রথম স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়েছি এবং গোটা স্বাস্থ্য বিভাগকে সংস্কারের
কথা বলেছি। আজকে তথাকথিত বিরোধী দলও দাবি জানিয়েছে।
হারুন অর রশীদ বলেন, শ ম রেজাউল করিম পূর্তমন্ত্রণালয়ের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন যে কারণে পূর্তমন্ত্রণালয়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। সরকার দুর্নীতির কাছে আত্মসমর্পন করে তাকে সেখান থেকে সরিয়েছে। আজকে বলা হচ্ছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। কিন্তু বাস্তবে কি তা সত্য? আজকে এই সংসদের মধ্যেই চিহ্নিত সরকারি সম্পদ লুটপাটকারী, চিহ্নিত মানবপাচারকারীরা রয়েছে, চিহ্নিত ব্যাংকলুটকারীরা রয়েছে। তারাই এখন ক্ষমতাধর, তারাই রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব পালন করছে।
তিনি বলেন, আমরা আবারও দাবি জানাচ্ছি, করোনা নিয়ন্ত্রণের জন্য রোডম্যাপ দিতে হবে। করোনা নিয়ন্ত্রণ, করোনায় যাতে মানুষ মারা না যায় তার জন্য সরকারকে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করতে হবে। অবিলম্বে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অপসারণ করে যোগ্য ব্যক্তিদের এই দুঃসময়ে দায়িত্ব দিতে হবে। একইসঙ্গে গোটা স্বাস্থ্য বিভাগকে সংস্কার করতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, আমিনুল ইসলাম, মোশাররফ হোসেন ও রুমিন ফারহানা।