পরিষদের নেতাকর্মীরা তাঁদের নতুন রাজনৈতিক দল পরিচালনার জন্য অনুদান সংগ্রহের উদ্যোগ গ্রহণ করে সংগঠনটি বিকাশ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে গণ অনুদান নেওয়া শুরু করে। অল্পদিনের মধ্যেই তাঁদের একাউন্টে লাখ লাখ টাকা অনুদান আসতে শুরু করে। এর কিছুদিন পরেই বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের বিকাশ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। । এসব একাউন্টগুলো বিধি অনুযায়ী পুনরায় খুলে না দেয়া হলে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন সংগঠনটির (ভারপ্রাপ্ত) আহবায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন।
বুধবার (১৮ নভেম্বর) রাতে ‘ক্যাম্পাস টক’ লাইভ অনুষ্ঠানে এসে তিনি এমনটি জানিয়েছেন ।
একাউন্ট ফিরে পেতে আইনি পদক্ষেপের কথা জানিয়ে রাশেদ বলেন, অনুদানের একাউন্টগুলোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের যে যোগাযোগ হচ্ছে এতেও যদি আমরা একাউন্ট ফিরে না পাই তাহলে আমাদেরকে আইনি পদক্ষেপের দিকেই যেতে হবে। কারণ আমরা নতুন ধারার যে রাজনীতি শুরু করেছি, দেশের জনগণের কাছ থেকে আমরা যে ধরনের সাড়া পাচ্ছি সেখানে আমাদরে জবাবদিহিতার জায়গা রয়েছে।
রাশেদ খাঁন বলেন, আমরা ইতিমধ্যে আমাদের গণচাঁদার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে হিসাব দিয়েছি। এরপরে আমরা যেটি দেখেছি, সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের যে টাকা লেনদেনের একাউন্টগুলো ছিল সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা যখন পরবর্তীতে আমাদের একাউন্টগুলোর অফিসে যোগাযোগ করতে যাই, সেখানে আমাদেরকে বলা হয়েছে এসব একাউন্ট থেকে নাকি অবৈধ লেনদেন হচ্ছে। আমরা এ বিষয়ে একাউন্টগুলোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
এর আগে গত ১৬ অক্টোবর নিজেদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গণ অনুদান চেয়ে লিফলেট প্রকাশ করেছিল বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। সে আহবানে প্রথম নয় দিনে ৯ লাখ ৭৭ হাজার ৪৪০ টাকা সাহায্য পেয়েছিল বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
রাশেদ খাঁন জানান, এরপর গত ১১ নভেম্বর আমাদের অনুদানের একাউন্টগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আমরা মনে করি, এখানে আমাদের গণতান্ত্রিক যে অধিকার যেটি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। আমরা আশা রাখছি, কর্তৃপক্ষ আমাদের অনুদানের একাউন্টগুলা খুলে দেবেন।