বঙ্গবন্ধু টি-২০ গোল্ডকাপ ক্রিকেট টিমে সুযোগ না পাওয়ায় সজীবুল ইসলাম সজীব (২২) নামে অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় আত্মহত্যা করেছেন। তিনি জাতীয় টিম অনূর্ধ্ব ১৫, ১৭ ও ১৯ দলের খেলোয়াড় ছিলেন। বিদেশের মাটিতেও খেলেছেন তিনি।
সজীব রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ঝালুকা গ্রামের মুরসেদ আলীর ছেলে।
নিহত সজীবুল ইসলাম সজীব ওই গ্রামের মুরসেদ আলীর ছেলে। তিনি অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় ছিলেন। বয়সভিত্তিক অনূর্ধ্ব ১৫ ও ১৭ দলেও খেলেছেন সজীব। বিদেশের মাটিতেও খেলেছেন তিনি।
সজীবের বড় ভাই তশিকুল ইসলাম জানান, তার ভাই সজীবের ছোট থেকে ক্রিকেট খেলার প্রতি ছিল আনেক আগ্রহ। সেই খেলার জন্য বকাও খেতে হয়েছে পরিবারের কাছে। একসময় তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে তুলতে ভর্তি হয় রাজশাহী কাটাখালী বাংলা ট্র্যাক নামে ক্রিকেট একাডেমিতে।
তশিকুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি সজীব বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে খেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। অংশগ্রহণের জন্য সব পরীক্ষাও দিয়েছিল সজীব। গত ১৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে উত্তীর্ণ খেলোয়াড়দের তালিকা প্রকাশ করা হয়। ওই তালিকায় তার নাম না থাকায় হতাশ হয়ে পড়ে সে। সবার অজান্তে শনিবার (১৪ নভেম্বর) গভীর রাতে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সজীব। সকালে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি টের পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তার ঝুলন্ত মরদেহ নামিয়ে আনেন।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসমত আলী জানান, সবীব আত্মহত্যা করেছে। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে লাশ দাফনের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে।