প্রথমে প্রেম তারপর বিয়ের প্রলোভন। একপর্যায়ে কৌশলে অপহরণ করা হয় প্রেমের ফাঁদে পড়া ওই কিশোরীকে। সেখানে আটকে রেখে কয়েক দফা ধর্ষণ করে প্রেমিক। ঘটনাটি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত মিজানকে গ্রেপ্তার করে। তার আগে গত বুধবার কিশোরীর বাবা ফরিদগঞ্জ থানায় মেয়েকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গতকয়েক মাস আগে চাঁদপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২এর একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলার গোয়ালগাড় গ্রামের ইউসুফের ছেলে মিজানুর রহমান ফরিদগঞ্জে অবস্থান করেন। এসময় ফরিদগঞ্জ পৌরসভার সাফুয়া এলাকায় পল্লীবিদ্যুতের লাইনে কাজ করার সময় তার সঙ্গে পরিচয় হয় স্থানীয় খেয়াঘাটের এক মাঝির কিশোরী মেয়ের।
পরবর্তীতে পরিচয় সূত্র ধরে মুঠোফোনে আলাপের একপর্যায়ে গত ১ ডিসেম্বর রাতে মিজানুর রহমান ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভনে কৌশলে অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে যায়। সেখানে তার এক নিকটাত্মীয়ের বাসায় তাকে আটকে রেখে কয়েক দফা ধর্ষণ করে। পরে ওই কিশোরী ঢাকা থেকে পালিয়ে এসে এই ঘটনা পরিবারকে জানায়।
তবে এরপরও গত মঙ্গলবার রাতে কিশোরীকে আবারো অপহরণের চেষ্টা করে ওই যুবক। এসময় পরিবারের লোকজন টের পেলে অভিযুক্ত যুবক মিজান পালিয়ে যায়। পরে গত বুধবার ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ মিজানকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কৌশলে আটক করে।
এই ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ হোসেন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু হয়েছে।