বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে জনগণকে কোভিডের মহাসংকট থেকে রক্ষার দিকনির্দেশনা নেই। এটি দুর্নীতির ধারাবাহিকতা রক্ষার বাজেট। জনগণের সমর্থনহীন সরকারের রাষ্ট্রের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তাই এ বাজেটে জনস্বার্থের কোনো প্রতিফলন ঘটেনি। ঘোষিত বাজেটে অপচয়, অব্যবস্থাপনা বন্ধ করে সুশাসন ও জবাবদিহি নিশ্চিত হয়নি। বরং এ সরকারের সময় দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা, আইনের শাসন এবং জবাবদিহির যে ঘাটতি রয়েছে, তার প্রতিফলন এ বাজেট।।
শুক্রবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এবারের প্রস্তাবিত বাজেট হচ্ছে জিডিপির মাত্র ১৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ। ২০২১ অর্থ বছরের মূল বাজেট ছিল পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা, যা ছিল ১৭ দশমিক ৯০ শতাংশ। এ হিসেবে বাজেটের প্রকৃত বৃদ্ধির পরিবর্তে সংকুচিত হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, যে প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতি বাঁচিয়ে রেখেছে তাদের জন্য বাজেটে কোনো পদক্ষেপ নেই। রপ্তানি খাতে ২ শতাংশ ভর্তুকির সুবিধা পাবে অর্থ পাচারকারীরা। বড় প্রকল্পে লুটপাটের সুযোগ বেশি, তাই সরকার গরিব-অসহায়দের প্রণোদনায় আগ্রহ দেখায় না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোহাম্মদ শামছুল আলম, চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বন ও পরিবেশ সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জেড খান রিয়াজউদ্দীন নসু, সহ-বন ও পরিবেশ সম্পাদক কাজী রওনকুল ইসলাম টিপু।