ইসলামী আন্দোলণ বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান এক বিবৃতিতে বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত এক সভায় কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত প্রদত্ত ওলামায়ে কেরামকে নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, কুষ্টিয়ার এসপি প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মকর্তা বা কর্মচারী হয়ে যে ভাষায় বক্তব্য দিয়েছেন, তা প্রজাতন্ত্রের আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। নেতৃদ্বয় বলেন, পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা শান্তি শৃঙ্খলার রক্ষার কথা না বলে সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দিয়ে সম্প্রীতি বিনষ্ট করেছে। নেতৃদ্বয় বলেন, কুষ্টিয়ার এসপি এস এম তানভীর আরাফাত তিনটি অপশন দিয়ে বলেন, ‘এক. উল্টাপাল্টা করবা হাত ভেঙে দেব, জেল খাটতে হবে। দুই. একেবারে চুপ করে থাকবেন, দেশের স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস নিয়ে কোনো প্রশ্ন করতে পারবেন না। তিন. আপনার যদি বাংলাদেশ পছন্দ না হয়, তাহলে ইউ আর ওয়েলকাম টু গো ইউর পেয়ারা পাকিস্তান।’ এধরণের বক্তব্য প্রশাসনের কোন কর্মকর্তার হতে পারে না। এধরণের উগ্র ব্যক্তি প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে এখন পর্যন্ত কিভাবে বহাল থাকে, তা আমাদের বোধগম্য নয়। এসপির কথাবার্তায় মনে হয় পুলিশি পোশাকে একজন উগ্র রাজনীতিবিদ। জনগণের টেক্সের পয়সায় পরিচালিত এমন উগ্র এসপি’র প্রয়োজন আছে বলে দেশবাসী মনে করেন না। এসপি সাহেব যদি বক্তব্য দিতে চান তাহলে পুলিশের পোশাক ছেড়ে দিয়ে রাজনীতির ময়দানে এসে দেন, তাতে কারো কোন আপত্তি নেই। আশাকরি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ বিষয়টি আমলে নিয়ে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম তানভীর আরাফাত-এর বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন।
এ বক্তব্য রাজনীতিবিদদেরকেও ছাড়িয়ে গেছে। এসপি’র এ উগ্র বক্তব্য দেশে নতুন সঙ্কট সৃষ্টি করবে, যা কারো কাম্য নয়। নেতৃদ্বয় এসপি তানভীরের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।