নুর আলম,স্টাফ রিপোর্টার: সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে মাওলানা আনোয়ার হোসেন আশরাফীর লেখা কাব্যগ্রন্থ “স্মৃতিকাব্যে জামিয়া”। যা ইতিমধ্যে অনলাইনে পাঠক হৃদয়ে ব্যপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে । বইটিতে স্হান পেয়েছে: স্মৃতিকথা,গল্প,সাধনা, প্রিয় ব্যক্তি ও উস্তাদের
কথা, বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্ত, ভালোবাসা, আবেদন, নিবেদন, অনুভুতি, কবিতা ও কাব্য। প্রকাশিত বই সম্পর্কে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে লেখক বলেন, স্মৃতিকাব্যে জামিআ”— এমন একটি স্মৃতির এ্যালবাম। যেখানে চির ভাস্বর আমার একান্ত কিছু স্মৃতিকথা তুলে ধরেছি।
কিন্তু এই স্মৃতির চারপাশ জুড়ে রয়েছে বিশাল একটি জগত। যেখানে চব্বিশটি বসন্তের হাজারো মানুষের আবেগ জড়িয়ে আছে। আমি আমার ছন্দহীন কাব্যে লিখে গেছি জামিআর কথা। সবার প্রিয় বড় হুজুরের কথা। আমাদের রূহানী পিতা, উস্তাদদের কথা। আমি লিখেছি
আমার একান্ত প্রিয়জনদের কথা, বন্ধুদের সাথে কাটানো সুন্দর মুহুর্তের কথা। আমি কাব্যের গাঁথুনিতে গেঁথে দিয়েছি অগ্রজদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার কথা, সহপাঠীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও প্রাপ্তির স্বীকারোক্তি, এবং অনুজদের কাছে তুলে ধরেছি কিছু আবেদন, কিছু
নিবেদন। বর্ণে বর্ণে লিখেছি আমি জামিআর নাম। ছন্দহীন কাব্যে, সুরহীন পদ্যে ফুটিয়ে তোলার প্রয়াস পেয়েছি কিছু অনুভূতি, কিছু অভিভূতি, কিছু স্মৃতি। বইয়ের নামকরণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুই যুগ পূর্তি পুনর্মিলনীর এই মহাক্ষণে, খুব সাদামাটা আয়োজনে স্মৃতিপটে ভাসা সেই স্মৃতিকাব্যগুলো মলাটবদ্ধ করার একটি অবাধ্য বাসনা হঠাৎ করেই মনে বাসা বাঁধে। তাই পুনর্মিলনী
অনুষ্ঠানের এই মহাক্ষণকে আরো স্মৃতিময় করে রাখতে আমার ছন্দহীন কাব্যভান্ডার থেকে কিছু শিরোনামকে বাছাই করে, এক মলাটে যার নাম দিয়েছি “স্মৃতিকাব্যে জামিআ”। মাও:আশরাফীর কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ হচ্ছে জেনে তার উস্তাদ মাওঃ মারগুব ইরফান সাহেব আনন্দ প্রকাশ করে তার টাইমলাইনে লিখেছেন, স্নেহের ছাত্র মাওলানা আনোয়ার হোসাইন আশরাফীর নতুন বই প্রকাশ হতে যাচ্ছে। কবিতার বই। এতো
দিন সে আমাদের বইয়ের কাজ করে দিয়েছিলো। আজ তার বই বের হয়েছে। সত্যিই আনন্দের বিষয়। ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আল্লাহ এ ধারা অব্যাহত রাখুক। লেখালেখিতে আল্লাহ বারাকাহ দান করুন। অন্য আরেকজন উস্তাদ উৎসাহ দিয়ে লিখেছেন, আমি শুনে
খুবই আনন্দিত। এই তরুণ উদীপ্ত লেখকের প্রথম কবিতার বই বের হওয়ায়। তাকে আরও উৎসাহিত হতে সাহায্য করতে স্বাগতম জানাই। আশাকরি,বইটি গ্রাহকের চাহিদা মেটাতে সমর্থ হবে ইনশাআল্লাহ। এদিকে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট শরীফ মাহমুদ সহ তার একাধিক বন্ধ ও
গুণগ্রাহী ফেসবুক পোস্টে স্বাগত ও আনন্দ প্রকাশ করে লিখেছেন; বহু প্রতিভায় প্রতিভাবান প্রিয় আশরাফী ভাই,যার প্রতিভার একটা একটা দিক নিয়ে আলোচনা করলে স্ট্যাটাস অনেক দীর্ঘ হয়ে যাবে। বিজ্ঞ মেধাবী আলেম হওয়ার পাশাপাশি একাধারে তিনি কবি সুসাহিত্যিক
লেখক গবেষক অনুবাদক।সবচেয়ে বড় কথা হলো তিনি নিরহংকারী একজন মহৎ মানুষ। মনুষ্যসন্তানের জনক হওয়ার পূর্বেই কাগুজে সন্তানের মুখ দেখলেন। লেখক পরিচিতি: আনোয়ার হোসাইন আশরাফী চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানাধীন কোটালী গ্রামের এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা জনাব ইয়াছিন আলী। পেশায় কৃষক। লেখাপড়ার হাতেখড়িগ্রামের প্রাইমারি স্কুলে । এরপর মাদ্রাসায়
ভর্তি হন। শরহে বেকায়া জামাতে বেফাক বোর্ডে ৩য় স্থান এবং আল-হাইয়াতুল উলইয়ায় ১৫ তম স্থান অধিকার করেন। বর্তমানে তিনি উম্মুল মাদারিস হাটহাজারী মাদ্রাসাতে ইফতা বিভাগের প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত আছেন। উল্লেখ্য,জামিআ আরাবিয়া আশরাফুল উলুম এর আল আশরাফ ছাত্র কাফেলা কর্তৃক আয়োজিত আগামী ২৮ই সেপ্টেম্বরের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বইটি জামিআর কুতুবখানায় পাওয়া যাবে।