রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিন এবং ইফতেখার ফারদিন দিহানের ‘পারস্পরিক সম্মতিতেই’ শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। আনুশকার মৃত্যুর পর অভিযুক্ত দিহানকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হলে এ সময় সে পুলিশকে এ কথা জানিয়েছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. সাজ্জাদুর রহমান দিহানের বরাত দিয়ে এ বিষয়ে জানিয়েছেন।
তিনি জানান, এক পর্যায়ে সে স্বীকার করে, তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক ও সম্মতির ভিত্তিতে শারীরিক মেলামেশা হয়। এরপর ওভার ব্লিডিং হয়, এ কারণে আনুশকা সেন্সলেস হয়ে যায়। তখন তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মৃত্যু হয়। তবে দৈহিক মেলামেশার বিষয়টি পরীক্ষা-নীরিক্ষা সাপেক্ষে প্রমাণের বিষয়। এর বাইরে অন্য কোনো কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়েছিল কিনা সেটি পরীক্ষার জন্য আলামত সংগ্রহের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেই নিহতের বাবা মো. আল-আমিন বাদী হয়ে আনুশকার প্রেমিক দাবিকারী ইফতেখার ফারদিন দিহানকে একমাত্র আসামি করে একটি মামলা করেন।