স্ত্রী রাখি খাতুন (২৬) অবাধ্য হওয়ায় স্বামী মিলন ইকবাল তাকে হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন। হত্যার পর স্ত্রীর লাশ একটি পাট ক্ষেতে রেখে পালিয়ে যান মিলন ইকবাল। পুলিশের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন অভিযুক্ত মিলন ইকবাল।
গোদাগারি উপজেলার তালধারি গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের মেয়ে নিহত রাখি খাতুনের সাথে তানোর উপজেলার চান্দুরিয়া গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে মিলন ইকবালের বিয়ে হয়। রবিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পুলিশ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মিলন ইকবাল পেশায় পোশাক শ্রমিক। সেই সুবাদে স্বামী-স্ত্রী ঢাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। কিন্তু অবাধ্য স্ত্রী রাখি খাতুনকে কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলেন না স্বামী মিলন ইকবাল। স্ত্রী রাখি কারণে অকারণে টাকা ব্যায় করতেন। এনিয়ে তাদের মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী মিলন ইকবাল পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী পাট খেতে নিয়ে রাখি খাতুনকে হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন।
সিংড়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মো. জামিল আক্তার জানান, নিহত রাখি খাতুন মিলন ইকবালের দ্বিতীয় স্ত্রী। সন্তান জন্ম দিতে না পারায় প্রথম স্ত্রী তালাক দিয়ে রাখি খাতুনকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু রাখি খাতুনও দীর্ঘদিন সংসার করে সন্তান জন্ম দিতে পারেননি। পরে মিলন ইকবাল গোদাগাড়ির পাকুড়িয়া গ্রামে তৃতীয় বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই দ্বিতীয় স্ত্রী রাখি বে-হিসাবি হয়ে পড়েন।
তিনি আরো বলেন, রাখি খাতুনের বিলাশিতার কারণে তৃতীয় স্ত্রীকে ঠিকঠাক ভরণপোষন দিতে পারতেন না মিলন ইকবাল। এক পর্যায়ে ক্ষোভ থেকে ৩১ মে গুরুদাসপুরের কাছিকাটা মাঠের একটি পাট খেতে নিয়ে স্ত্রী রাখিকে হাতুরি দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন।






