ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত মনোবিজ্ঞান বিভাগের শেষ (ফাইনাল) বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারিতে, কিন্তু সেই পরীক্ষার রেজাল্টের কোনো আভাসই নেই, আরেক জানুয়ারি চলে আসছে।
যাদের স্নাতক শেষ বর্ষের পরীক্ষার এক বছর অতিক্রান্ত হচ্ছে কিন্তু তাদের সেই পরীক্ষার রেজাল্ট হচ্ছে না এখনও। এতে দুর্ভোগে পড়েছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলছে, রেজাল্টে দীর্ঘসূত্রিতার ফলে প্রতি বছরই প্রায় ১০ মাসেরও বেশি অপেক্ষা করতে হয় তাদের। একদিকে ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা অন্যদিকে রেজাল্ট কবে দিবে সেই চিন্তা। এর ফলে তাদের অনেকেই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ও নানান মানসিক পীড়ায় ভুগছেন। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে রেজাল্ট প্রকাশ করে ভবিষ্যত অগ্রগতির পথ সুগম করার অনুরোধ এই শিক্ষার্থীদের।
রেজাল্টের বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগের পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, আমাদের ইয়ার সিস্টেম। এই সিস্টেমে আমাদের যেই সমস্যা হয় সেটা হচ্ছে শিক্ষার্থীরা, এতে এমনিতেই ৭-৮ মাস সময় লেগে যায় রেজাল্ট দিতে। কেন না আমাদের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার খাতা ৩ জন শিক্ষক দেখেন। এতে প্রথম পরীক্ষক প্রায় দেড় থেকে দুই মাস সময় নেয় পরে দ্বিতীয় পরীক্ষকের আরও এক দেড় মাস সময় লাগে। এরপর তৃতীয় পরীক্ষক নির্ধারিত হয়। এভাবে প্রায় ৬ মাস সময় লেগে যায়। এটা একটা প্রসেস যার মধ্যদিয়ে আমাদের যেতে হয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করি যে এই রেজাল্ট দ্রুত দেয়ার জন্য কিন্তু প্রশাসনিক কিছু বিষয়ের জন্য আমাদের প্রসেসটা বড় হয়। আর অনেক শিক্ষক খাতা জমা দিতে দেরি করেন ফলে রেজাল্ট একত্রিত করতে সময় লেগে যায়। আর বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণেও কিছুটা সময় নষ্ট হয়েছে। রেজাল্টের কাজ আমরা শুরু করে দিয়েছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা রেজাল্ট দিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মাহফুজা খানম বলেন, আমরা পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি যাতে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে রেজাল্ট দিয়ে দেয়া হয়। দেখা যাক তারা কতদূর পারে। আগামী বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) পরীক্ষার ফলাফল বিষয়ে মিটিং রয়েছে সেখান থেকেই রেজাল্ট কি অবস্থায় আছে তা জানা যাবে।