নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানায় এক নারীকে বর্বরতম নিপিড়ন করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বেগমগঞ্জ থানার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বড়খাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সেখানের এক গৃহবধুকে বিবস্ত্র করে তার লজ্জাস্থানে আঘাতসহ ভয়ানক ভাবে নির্মমতা চালানো হয়।
ওই নারী নিজেকে রক্ষার জন্য বারবার তাদের প্রতি আকুতি-মিনতি করার পরও রক্ষা পায়নি। তবে ঠিক কী কারণে এতোটা বর্বর ও নারকীয় ঘটনা ঘটানো হয়েছে সে বিষয়ে এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি।
স্থানীয় প্রভাবশালী, লম্পট, বর্বর নেতা ও সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার, বাদল ও কালামসহ বেশ কয়েকজনের উপস্থিতি ও প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততায় এই বর্বরতম ঘটনা ঘটে। এমনকি বিষয়টি ভিডিও করে নগ্ন উল্লাসও প্রকাশ করে তারা।
জানা গেছে, ৩২ দিন আগে ঘটে যাওয়া ওই ঘটনার ভিডিও রোববার (৪ অক্টোবর) দুপুরে ফেসবুকে ছড়ানো হয়। এর ফলে তা স্থানীয় প্রশাসনের নজরে আসে।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্থানীয় দেলোয়ার, বাদল, কালাম ও তাদের সহযোগীরা নির্যাতিতার পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখে। ফলে পুরো ঘটনা থেকে যায় স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ প্রশাসনের অগোচরে। বর্তমানে নির্যাতিতা ওই পরিবারের বসতঘরে তালা ঝুলছে। ভুক্তভোগী পরিবার নিখোঁজ রয়েছে।
বেগমগঞ্জ থানার ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরী ঘটনার বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানান, এমন একটি বর্বরোচিত ঘটনার খবর পেয়েছি। ইতোমধ্যে আঃ রহিম নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
থানার ওসি এ বিষয়ে আরো বলেন গ্রেফতারকৃত আব্দুর রহিম দোষ স্বীকার করেছে এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে একই সাথে তিনি জানিয়েছেন এই ঘটনার সাথে দেলোয়ার বাহিনী জড়িত রয়েছে আমরা তাদেরকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি ও অবশ্যই সকলকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন জানান, পুলিশ নির্যাতিতাকে তার বাবার বাড়ি থেকে সন্ধ্যায় উদ্ধার করেছে। তিনি জানিয়েছেন, ২০-২৫ দিন আগে ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের পাঁচটি ইউনিট অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ রবিবার রাত ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন।