ধর্ষণবিরোধী গ্রাফিতি আঁকার সময় ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা মহানগর ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি জহরলাল রায় এবং একই শাখার স্কুল ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সাদত মাহমুদকে আটক করে থানায় নিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
গয়কাল সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রাজধানীর রমনা এলাকায় ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়।
জহরলাল রায় বলেন, ‘ধর্ষণবিরোধী গ্রাফিতি আকার সময় রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মহিবুল্লাহ এসে বাধা দেন। এ সময় তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে টেনে-হিঁচড়ে আমাদের গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যান।’
তিনি বলেন, ‘থানায় নিয়ে ডিউটি অফিসারের রুমে আমাদের বেধড়ক মারধর করে। থানার ফুটেজ আছে, সেখানে দেখা যাবে। পরে আরেকটা রুমে নিয়ে আরেকবার মারধর। পরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়।’
রমনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, মুচলেকা নিয়ে আটকের এক ঘণ্টা পর ছাত্র ইউনিয়ন নেতাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহেদি হাসান নোবেল বলেন, ‘এটি লজ্জাজনক ঘটনা। এ ধরনের একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে পুলিশের আচরণ ধর্ষকদের পক্ষেই যায়। এতে ধর্ষকরা আরও উৎসাহিত হবে।’
এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করে তিনি বলেন, ‘দ্রুত সময়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না হলে রাজপথে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
অপরদিকে ওই ঘটনার প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটি আজ সন্ধ্যায় প্রেসক্লাব থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি পর্যন্ত মশাল মিছিল করেছে।