ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে ময়দানে অবতীর্ণ হওয়া প্রতিটি নবী ও রাসূল প্রেমিক জনতার দায়িত্ব ও কর্তব্য। সত্যের প্রতিষ্ঠা ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করার মধ্যে মুসলমানদের শ্রেষ্ঠত্ব নিহিত। রাসূল সা.-এর অবমাননা ও ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করার পর কোন ঈমানদার জনতা বসে থাকতে পারে না।
মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, দেশের সামগ্রিক অবস্থা ভাল নয়। সাধারণ মানুষের মুখে হাসি নেই। মধ্য ও নিম্নবিত্তের মানুষ বহু কষ্টে আছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা। নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে দেশের সম্পদ লুটেপুটে খাচ্ছে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল। মাদক ও কিশোর গ্যাং প্রতিটি জনপদে ছড়িয়ে পড়ছে। এমতাবস্থায় একজন দেশপ্রেমিক নিরবে বসে থাকতে পারে না।
শনিবার (৭ নভেম্বর) খুলনা গোয়ালখালীস্থ আল্লামা সৈয়দ ফজলুল করীম রহ. ফাউন্ডেশন অডিটোরিয়ামে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা জেলা ও মহানগর শাখার দায়িত্বশীল কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল আউয়াল পীর সাহেব খুলনা, মাওলানা আব্দুল মজিদ পীর সাহেব মোড়েলগঞ্জ। মহানগর সভাপতি মুফতী আমানুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দায়িত্বশীল কর্মশালায় জেলা ও মহানগরীর থানা ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম আরো বলেন, সরকার ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ণ করেছে। কিন্তু বাস্তবায়ন হচ্ছে না। ফলে আগের চেয়েও ধর্ষণ অনেকাংশে বেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, ধর্ষণ বন্ধে ইসলামী শরীয়াহ’র বিকল্প নেই। শরীয়াহ আইনে বিচার করলে ধর্ষণ শতভাগ বন্ধ হবে, ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, মেজর সিনহা হত্যায় জড়িত ওসি প্রদীপকে এখন পর্যন্ত কেন বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে না তা আমাদের বোধগম্য নয়। তিনি বলেন, বিচার বহির্ভূত যেকোন হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের বিচার করতে হবে।