কোভিড-১৯ সৃষ্ট বিপর্যয়ে যখন প্রায় সব কিছুই ইন্টারনেট কেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে, তখন ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করার কথা বলছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবি।
ভ্যাট জটিলতার সমাধান না হলে সারাদেশে কিছু সময়ের জন্য ইন্টারনেট বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম। শনিবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘ভ্যাট জটিলতার সমাধান না হলে সীমিত আকারে সারাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ করার পরিকল্পনা নিয়েছি। সুবিধামতো সময়ে দুই থেকে এক ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধ রাখব।’
জুলাই মাসের মধ্যে দাবি মানা না হলে এই কর্মসূচিতে যাবেন বলে জানান আইএসপিএবি সভাপতি।
তবে কবে, কখন এই কর্মসূচি নেওয়া হবে তা সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আমিনুল হাকিম বলেন, দাবি মানা না হলে ইন্টারনেট বন্ধের এ কর্মসূচি ধাপে ধাপে, অর্থাৎ প্রতিমাসে বা সপ্তাহে সপ্তাহে চলমান থাকবে।
তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেটে ৫ শতাংশ ভ্যাট গ্রাহকদের থেকে আদায় করে আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলো। আর ১৫ শতাংশ ভ্যাট ভ্যালু চেইনের অন্যান্য খাত আইএসপিগুলো থেকে আদায় করে থাকে।’
আইএসপিএবি সভাপতি উল্লেখ করেন, ‘৫ শতাংশ ভ্যাট গ্রাহক থেকে আদায় করা হলেও আইটিসি, আইআইজি, এনটিটিএনকে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট পরিশোধ করতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৩৫ শতাংশ ভ্যাট বাবদ খরচ দিতে হচ্ছে আইএসপিগুলোকে।’
তিনি জানান, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেটে ইন্টারনেট সেবায় ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং অন্যান্য স্তরে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করায় জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে প্রান্তিক পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন ও দেশের সকল শ্রেণির জনগণের কথা বিবেচনা করে ইন্টারনেটে ভ্যাট জটিলতা নিরসনের দাবি জানান ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠনের এই সভাপতি আমিনুল হাকিম।