ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেছেন, সরকার তেলা মাথায় তেল দেয়ার বাজেট ঘোষণা করেছে। বাজেটে গণমানুষের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে উচ্চবিত্তের মনোরঞ্জনের চেষ্টা করা হয়েছে। দেশের ৪০ শতাংশ দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে উপেক্ষা করা হয়েছে। করোনা মহামারীতে কাজহারা আড়াই কোটি নতুন দরিদ্রকে বাজেটে স্বীকৃতিই দেয়া হয়নি। এই বাজেট মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য মরার উপর খাঁড়ার ঘায়ের বাজেট। এই বাজেট ধনী-দরিদ্রের বৈষম্যকে আরও প্রকট করে তুলবে। দেশের মানুষ এ বাজেট প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি বলেন, করোনায় শহরে গরীবের সংখ্যা বেড়েছে। বাজেটে এই নগর দরিদ্রদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা সহায়তায় আলাদা কোন কর্মসূচি নেই। অথচ প্রতিনিয়তই মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় লাফিয়ে বাড়ছে। বাজেটে অবশ্যই নগর দরিদ্রদের জন্য নতুন কর্মসূচি তৈরি করতে হবে। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর ১৫ শতাংশ কর প্রস্তাবকে হঠকারী উল্লেখ করে তিনি তা প্রত্যাহারের দাবী জানান তিনি।
বাজেটে ২৫ লাখ করে ৪ বছরে ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনাকে জাতির সাথে তামাশা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী অর্থবছরেই সবাইকে টিকার আওতায় আনতে হবে। এজন্য যা যা করা দরকার সরকারকে তাই করতে হবে। স্বাস্থ্যখাতের সকল অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা বন্ধ করতে হবে।
মাওলানা ইমতিয়াজ আরো বলেন, দেশের মানুষ ধনীবান্ধব নয়, গণবান্ধব বাজেট চায়। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ধার-দেনার যে বাজেট সরকার ঘোষণা করেছে তা অত্যন্ত লজ্জাজনক।
সোমবার (৭ জুন’২১) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের এক যৌথসভায় সভাপতির বক্তব্যে উপর্যুক্ত কথা বলেন। নগর দক্ষিণের সেক্রেটারি আলহাজ্ব আব্দুল আউয়াল মজুমদারের সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, জয়েন্ট সেক্রেটারি ডা শহীদুল ইসলাম সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ নুরুজ্জামান সরকারসহ নগর ও থানা নেতৃবৃন্দ।