দেশে অপরাধপ্রবনতা কমলে স্বাভাবিকভাবেই মামলা মোকাদ্দমার সংখ্যাও কমবে। আর মামলা মোকাদ্দমা কমলে দেশের একটি পেশাজীবি শ্রেণি সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাদের আয় রোজগার কমে যাবে। এখন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় আইনজীবিদের কোন সংগঠন যদি অপরাধ প্রবনতা কমানোর কোন উদ্যোগের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, তাহলে দেশের কোন সচেতন নাগরিকই তা সমর্থন করবে না। তারা যতই আইনী ব্যাখ্যা করুক।
ঠিক তেমনি দেশের মানুষের যদি রোগ বালাই কমে যায় তাহলে দেশ জাতি উপকৃত হলেও দু’টি শ্রেণির ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে; একটি হলো এক শ্রেণীর কিছু ডাক্তার আরেকটি হলো ঔষধ ব্যাবসায়ী। এখন এই দুই শ্রেণির কেউ যদি রোগ বালাই কমানোর কোন উদ্যোগে বাধা হয়ে দাড়ায় তাহলে জনগণের উচিত তাদেরকে চিহ্নিত করে তাদের মুখোস উম্মোচন করা।
বর্তমান সময়ে ডা. জাহাঙ্গির কবির বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং একজন আস্থাবান কল্যাণকামী হিসেবে পরিচিত।
তাঁর নির্দেশনা ফলো করে দেশের লাখ লাখ মানুষ উপকৃত হয়েছেন। তাঁর দেয়া পরামর্শে জন-মানুষ কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে কোন নির্ভরযোগ্য তথ্য নেই। বরং তাঁকে ফলো করে শারিরিক, মানসিক ও আর্থিকভাবে উপকৃত হয়েছেন এমন উদাহারণের অভাব নেই।
অথচ আজ অবাক বিস্ময়ে দেখলাম, ডাক্তারদের একটি সংগঠন ডা. জাহাঙ্গীর কবিরকে অপচিকিৎসক উল্লেখ করে তাঁর বিরুদ্ধে বিশাল অভিযোগনামা পাঠিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আইনী ব্যাবস্থা গ্রহনের হুমকি দিয়ছে।
ডা. জাহাঙ্গির কবিরের উচিত অভিযোগকারী ডাক্তারদের সঙ্গে চ্যালেঞ্জে যাওয়া। জনগণের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া উচিত। দেশের জনগণ আজ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি।
ডা. জাহাঙ্গির কবির একটি সিন্ডিকেটের জিম্মিদশা থেকে মানুষকে মুক্তির পথ দেখাচ্ছিলেন। অসংখ্য মানুষ সুস্থ্য স্বাভাবিক জীবন লাভ করে আত্মবিশ্বাস খুঁজে পেয়ছেন।
আশা করি ডা. জাহাঙ্গির কবির বিষয়টি সিরিয়াসলি নিবেন। তিনি যদি সত্যিই সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে মানুষের কল্যাণে সঠিক কাজ করে থাকেন তাহলে জনগণ অবশ্যই তাঁর পাশে থাকবে। ষড়যন্ত্রকারীরা কিছুই করতে পারবে না।
মাওলানা গাজী আতাউর রহমান
যুগ্ম মহাসচিব
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ