ডাকসু ভবনে নিজ অফিসে ভিপি নুর ও তার সমর্থকদের ওপর হামলার একটি বছর পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি তদন্ত, মিলেনি সুষ্ঠু বিচার। এমন দাবিতে ‘কালো পতাকা মিছিল’ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।
এসময় বিচারহীনতার বিরুদ্ধে ‘কালো পতাকা মিছিল’ শহীদ মিনার থেকে রাজু ভাষ্কর্য, শাহবাগ হয়ে পল্টন পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য যে, গত বছরের এই দিনে রাজু ভাষ্কর্যে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ তাদের পূর্বনির্ধারিত একটি কর্মসূচি শেষ করে ডাকসু ভবনের দিকে মিছিল নিয়ে যায়। একপর্যায়ে সেখানে ভিপি নুরসহ তার অনুসারীদের সঙ্গে মঞ্চের নেতাকর্মীদের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। পরে মঞ্চের কিছু নেতাকর্মী নুরদের লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকে। মঞ্চের কিছু নেতাকর্মী ডাকসু ভবনের দ্বিতীয় তলায় উঠতে থাকলে নুরের অনুসারীরা তাদের প্রতিহত করে ডাকসু ভবনের মূল ফটক বন্ধ করে দেয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু ভবনে ভিপি নুরুল হক নুরের সঙ্গে থাকা সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সদস্যরাও হামলার শিকার হন।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন ডাকসু ভবনের মূল ফটক খুলে ভেতরে ঢোকেন। তাদের সঙ্গে ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মীও ঢুকে পড়েন।
সনজিত-সাদ্দাম ভিপি নুরের কক্ষে গিয়ে তাকে বহিরাগতদের বের করে দিতে বলেন। কিন্তু নূর আপত্তি জানালে উভয়ের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এসময় ছাত্রলীগের অন্য নেতাকর্মীরা ভিপি নুরের কক্ষে থাকা সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাকর্মীদের বের করে দেন।
ওই কক্ষ থেকে বের হতে বাধ্য হওয়া পরিষদের নেতা-কর্মীরা নিচে নামার পরপরই ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীদের লাঠিপেটার শিকার হন।
এরই মধ্যে সনজিত ও সাদ্দাম ডাকসু ভবন থেকে বেরিয়ে পাশের মধুর ক্যান্টিনে চলে যান। এরপর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে ভিপি নুরের কক্ষে ঢুকে বাতি নিভিয়ে সেখানে থাকা সবাইকে এলোপাতাড়ি পেটান বলে আহতরা অভিযোগ তুলেন।
এতে নুর ছাড়াও আহত হন পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেন, রাশেদ খানসহ ১৫ জন। এসময় এক জনকে ডাকসু ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বরাতে, হামলাকারীরা যাওয়ার সময় ডাকসু ভবনের সিসি ক্যামেরার ধারণ করা চিত্র যে কম্পিউটারে থাকে, তার হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে যায়।