মোঃ আবু হানিফ, মুলাদী, বরিশালঃ
মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারগণ পরিত্যক্ত ভবনে বসে ঝুঁকি নিয়ে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। যে কোন সময় ধ্বসে পড়ে যেতে পারে হাসপাতালের ৩১ শয্যার পুরাতন ভবনটি। উপজেলার একমাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নিতি করা হয়েছে ২০০৬ সালে, কিন্তু নানা কারণে ১৯ শয্যার ভবনটির নির্মাণ বিলম্বিত হয়। বর্তমান সরকারের হস্তক্ষেপে ২০১৭ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়।
ইতোমধ্যে ২০১৩ সালে হাসপাতালের পুরাতন ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
পরবর্তীতে ২০১৭ সালে ১৯ শয্যার নতুন ভবনের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে মানুষের দোর গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দেয়া হয়। ৫০ শয্যার সমস্ত কার্যক্রম ১৯ শয্যার নতুন ভবনে সংকুলান না হওয়ায় পুরাতন ভবনেরও কিছু অংশ ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। উপজেলার হাজার হাজার এবং পার্শ্ববর্তী উপজেলার গরীব ও অসহায় মানুষ নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালের জরুরী বিভাগ, নিয়মিত বহির্বিভাগ, প্রয়োজনীয় অপারেশন চালু রাখা সর্বোপরি ডাক্তারগণের আন্তরিকতার কারণে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
পরিত্যাক্ত ভবনের একই রুমে একাধিক ডাক্তার বসে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। জনবল সংকটের কারণে দেখা দিচ্ছে নানান সমস্যা। পরিত্যাক্ত ভবনটি যে কোন সময় ধসে যেতে পারে। নানা অব্যবস্থাপনা এবং অপ্রতুলতার কারণে একটা সময় স্বাস্থ্যসেবা বিঘ্নিত হলেও বর্তমান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ সাইয়েদুর রহমান দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে পরিবর্তন হতে থাকে। তার সার্বক্ষণিক উপস্থিতি, উৎসাহ এবং দক্ষ প্রশাসনিক পরিচালনা হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবার পরিবেশ ফিরে এসেছে। ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীগণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি প্রেজেন্ট নিউজ কে আরো জানান, কোভিড-১৯ সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি নিয়েও আইসোলেশনে ও কোভিড আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এবং করোনা রোগী সনাক্তকণের জন্য নিয়মিত ভাবে নমুনা সংগ্রহ করে এই স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সটি।
স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে ডাক্তারগণ এই উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের চিকিৎসা সেবায় নিয়মিত নিয়জিত আছে বলে মতব্যক্ত করেন স্হানীয় সচেতন সমাজ।