জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাস সংলগ্ন গেরুয়া গ্রামের স্থানীয় অধিবাসীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১০ রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ করেন। শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষ চলমান রয়েছে। এসময় ঘটনাস্থলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন কলে জানিয়েছে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী।
সংঘর্ষ চলাকালে তিনটি মোটরগাড়ি এবং গেরুয়া বাজারের কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করা হয়। উত্তেজনা বৃদ্ধিতে স্থানীয় মসজিদগুলোতে জোরপূর্বক মাইকিং করে লোকসমাগম করা হয় বলে অভিযোগ এসেছে। এ ঘটনায় দুপক্ষের দাবি অনুযায়ী প্রায় ৫০ জনেরও অধিক আহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা দাবি করেন, জাবি ছাত্রলীগের অভিষেক (সাংগঠনিক সম্পাদক অভিষেক মন্ডল), পিয়াস, এলেক্স (জাবি ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য) ও রনির গ্রুপের নেতৃত্বাধীন প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থী স্থানীয় একটি সামাজিক সংগঠন বাতিঘরের সদস্য নজরুলকে আটক করে টর্চার করেন এবং মুক্তিপণের জন্য দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু স্থানীয়রা গিয়ে নজরুলকে উদ্ধার করেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, আমাকে অভিষেকের পোলাপানেরা অপহরণ করে রাতের মধ্যে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং নির্যাতন চালায়। টাকা দিতে না পারলে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় তারা। পরে স্থানীয় ভাই-ব্রাদারেরা আমাকে উদ্ধার করতে আসলে তাদের (শিক্ষার্থী) সাথে সংঘর্ষ শুরু হয়।