শুক্রবার রাজধানীতে লেবার পার্টির উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘স্বাস্থ্য খাতে নৈরাজ্য-দুর্নীতি বন্ধ ও ওষুধের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি’ প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দেশের বিরাজমান নৈরাজ্য থেকে জনদৃষ্টি ভিন্নখাতে ফেরাতে সরকার আলেমদের মাঠে নামিয়েছে।
তিনি বলেন, আজকে চারিদিকে যে নৈরাজ্য, এই নৈরাজ্য থেকে দৃষ্টি সরানোর জন্য সরকারই আলেমদেরকে বিপদে চালিত করেছে। আমি আলেমদের বলি, অযথা এসব বির্তকে না জড়িয়ে আন্দোলনে আসেন। দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হচ্ছে না তার জন্যে। সরকারের কিছু পয়সা পেয়ে তাদের কথায় নাইচেন না, তাদের কথায় নাচলে আপনাদেরই ক্ষতি হবে।
সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আজকে পুলিশকে দিয়ে যে হঠাৎ নোটিশ ডিএমপির। আমি বলি, পুলিশ সরকারের খাদেম নয়, জনগণের খাদেম। পুলিশের শত অভাব-অভিযোগ আছে। আজকে পুলিশ অফিসারদের সরকারি বাড়ি-ঘর নেই। তাদেরকে বাইরে গিয়ে থাকতে হয় তাদের বেতনের চেয়ে বেশি ভাড়া দিয়ে। এই অবস্থায় থাকলে তারা ঘুষ খাবে না কী করবে। পুলিশ বাহিনীর প্রতি আমার আবেদন থাকবে অন্যায় নির্দেশের কথা আপনারা শুনবেন না।
ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আজকে ওষুধ থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণ। সরকার যদি নীতি মানে ১৫ দিনের মধ্যে ওষুধের দাম কমপক্ষে অর্ধেক হবে। ১৯৮২ সালের যে ওষুধ নীতি করা হয়েছে সেখানে পর্যাপ্ত লাভ দিয়ে ওষুধের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশে ভ্যাকসিন আনার বিষয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আপনারা জানেন- বাংলাদেশে ভ্যাকসিন আনতে যে চুক্তি করেছে সালমান এফ রহমানের ব্যাক্সিমকোর মাধ্যমে। সেটা ২ ডলার কমে পেত যদি সরকারি কোম্পানি বিটিসিএলের মাধ্যমে আনা হতো। সরকারকে বলি, এটা আপনার বাবার পয়সা না, এটা জনগণের পয়সা। অপব্যয় করার অধিকার আপনার নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকেও তারা বোকা বানাচ্ছে, অনুগ্রহ করে ন্যায়নীতির দিকে থাকেন।