ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও সিপিবির সার্বক্ষণিক সদস্য এস এম শুভর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা করেছেন তার স্ত্রী। স্ত্রীর অভিযোগ পল্টনে সিপিবি কার্যালয়ের ভেতরে তাকে পিটিয়েছেন স্বামী এস এম শুভ।
গত ১৬ জুলাই দায়ের হওয়া মামলায় ওই নারী অভিযোগ করেন, গত বছরে তারা বিয়ে করেন। সংসারের খরচ তিনিই চালাচ্ছিলেন। বিয়ের মাস দেড়েক পর তার স্বামী ব্যবসার জন্য তার বাবার (নারীর) কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে দিতে বলেন। তিনি অস্বীকৃতি জানানোর পর থেকেই এস এম শুভ তার ওপর নির্যাতন চালাতে শুরু করে।
গত ১৭ মে মারধর করলে নির্যাতনের শিকার নারী তার বাবাকে জানান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এস এম শুভ তার সঙ্গে থাকা বন্ধ করে দেন। ওই নারী প্রথম আলোকে বলেন, ২০ জুন তিনি তার জন্মদিনে আসতে অনুরোধ করেন। শুভ তার বাসায় আসেন। পরদিন জানিয়ে দেন তিনি তার স্ত্রীর সঙ্গে সংসার করতে চান না।
মামলার এজাহারে ওই নারী উল্লেখ করেছেন, স্বামীকে বাসায় নিয়ে আসতে তিনি পল্টনের সিপিবি কার্যালয়ে গেলে এম এম শুভ ও তার বন্ধু আরিফুল ইসলাম নাদিম তাকে এলোপাতাড়ি পেটান।
এ বিষয়ে এস এম শুভর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোন বন্ধ ছিল। এস এম শুভ এখন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি)র ক্ষেতমজুর সমিতির বর্তমান নেতা।
ওই নারী পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। মামলা দায়েরের তিন দিন পরও এস এম শুভ বা আরিফুল ইসলাম নাদিমের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। দল থেকেও ওই নারী কোনো সাহায্য পাননি বলে অভিযোগ করেন। যদিও নির্যাতনের শিকার নারীও ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক কর্মী।