৯ মাস আগেই গ্যাস লাইন লিকেজ মেরামতের জন্য লিখিতভাবে অভিযোগ জানানো হলেও ৫০ হাজার টাকা ঘুষ না পাওয়াতে কাজ করেনি তিতাস। এমনটাই অভিযোগ নারায়ণগঞ্জ পশ্চিম তল্লা বায়তুল সালাহ জামে মসজিদ কমিটির। এ নিয়ে তদন্ত চলছে, কেউ দায়ী হলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা বাইতুল সালাহ জামে মসজিদটি গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকেই গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়। শুক্রবার রাতে এশার নামাজের সময় বিকট শব্দে মসজিদের পর পর ৬টি এসিই বিস্ফোরিত হয়। মুহূর্তেই চারপাশে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে দগ্ধ হন মসজিদের অর্ধশতাধিক মুসল্লী।
বিস্ফোরণে মসজিদের সবগুলো জানালার কাঁচ ভেঙ্গে চুর্ণ হয়ে যায়। দগ্ধ মুসল্লিরা মসজিদ থেকে বাইরে ছুটে এসে রাস্তায় জমে থাকা পানিতে গড়াগড়ি খেতে শুরু করে।
শনিবার সকালে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাদেরকে সাথে নিয়ে মসজিদ পরিদর্শনে যান তিতাসের এমডি।
গ্যাস লিকেজের লাইন ঠিক করতে ৯ মাস আগে তিতাসকে জানানো হলেও ৫০ হাজার টাকা ঘুষ না দেয়ার কারণে সাড়া মেলেনি বলে দাবি মসজিদ কমিটির সভাপতির।
নারায়ণগঞ্জ পশ্চিম তল্লা বাইতুল সালাহ জামে মসজিদের সভাপতি আব্দুল গফুর মেম্বার বলেন, যখন থেকেই গ্যাস লাইন লিকেজ হতে থাকে এটি মেরামত করার জন্য আমরা সাথে সাথেই তিতাসকে জানিয়েছি। তখন তারা আমাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাইছিল, আমরা টাকাটা জোগাড় করতে পারি নাই বলে সেটি আর মেরামত করা হয়নি।
এবিষয়ে তদন্ত চলছে, কেউ দায়ী হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী মোহাম্মদ আল মামুন। তিনি বলেন, কমিটি এই বিষয়ে তদন্ত করবে। যদি কেউ বিষয়ে গাফিলতি করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে, গ্যাস লিকেজ ধরেই তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক ও তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব নূর হাসান। তিনি বলেন, আমরা আলামত সংগ্রহ করছি। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে আমরা কথা বলছি। গ্যাস লিকেজ এবং বিদ্যুৎ এর বিষয় মাথায় রেখেই আমরা তদন্ত কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছি।
ঘটনা তদন্তে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১০ কার্যদিবসের মধ্য প্রতিবেদন জমা দেবে তারা। এছাড়া, তিতাস ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫ সদস্যের দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা রয়েছে।