নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম নুরুল হুদা বাবুল।
শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীনে থেকে মারা যান তিনি।
নিহত নুরুল হুদা মধ্য মোহাম্মদপুর গ্রামের আলী মিয়া রাজেরবাড়ির মোশারফ হোসেনের ছেলে।
এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা হলেন, একই বাড়ির জামাল উদ্দিন সুমন, কামাল হোসেন ও অন্তর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মধ্য মোহাম্মদপুর গ্রামের আলী মিয়া রাজের বাড়ীর মোশারফ হোসেন গং ও আব্দুর রব গংয়ের মধ্যে জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধ ছিল।
গত ১৯ মে সন্ধ্যায় আব্দুর রবের নাতি অন্তর একই বাড়ির মোশারফের ছেলে শরিয়ত উল্যার বসত ঘরের পাশে থাকা গাছ থেকে জামরুল ফল পাড়ে। এসময় গাছের ওপরের অংশ ভেঙে শরিয়তের ঘরের ওপর পড়ে। এতে ঘরে ঘুমিয়ে থাকা শরিয়ত উল্যাহ বের হয়ে এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আব্দুর রবের ছেলে জামাল উদ্দিন সুমন, নূর নবী ও নাতী অন্তর চাইনিজ কুড়াল, লোহাররড ও দেশিয় অস্ত্র নিয়ে শরিয়তের ওপর হামলা চালায়। এসময় শরীয়তকে বাঁচাতে তার ভাই নুরুল হুদা বাবুল, মর্জিনা আক্তার, কমলা বেগম ও নাছিমা আক্তার এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাদের সবাইকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে এবং কুপিয়ে জখম করে।
পরে স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তাদের মধ্যে নুরুল হুদা বাবুলের অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে, পরে আরও অবনতি হলে বুধবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার ভোরে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সেনবাগ থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, হামলার ঘটনায় নিহতের বাবা মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে আটজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত তিন আসামিকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ওই মামলাটি এখন হত্যা মামলা হবে। অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানার ওসি। সূত্রঃ যুগান্তর