বকেয়া পাওনার দাবিতে আন্দোলনরত ঢাকা ও আদমজি ইপিজেডের গার্মেন্টস শ্রমিকদের ওপর পুলিশের গুলি-নির্যাতনে নিহত শ্রমিক জেসমিনের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘটন করে দায়ীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট। একইসঙ্গে লেনি ফ্যাশন, লেনি অ্যাপারেলস, কুনতং অ্যাপারেলস ও এ-ওয়ান বিডি গার্মেন্টেসের মালিকদের গ্রেপ্তার ও সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি আহসান হাবিব বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান।
তারা বলেন, বিদ্যমান শ্রম আইন অনুযায়ী কোনো কারখানা মালিক কোনো শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করলে চাকরি অবসানের পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে তার সকল পাওনা পরিশোধ করতে বাধ্য। অথচ বেপজা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের আইনানুগ বকেয়া বেতন-ভাতা-ক্ষতিপূরণ আদায় কিংবা শ্রমিকদের চাকরি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দায়িত্ব পালন করছে না। ঢাকা, আদমজি ও চট্টগ্রাম ইপিজেডে অবস্থিত বিভিন্ন পোষাক কারখানার মালিক হাজার-হাজার শ্রমিকের বকেয়া কোটি-কোটি টাকা পরিশোধ না করে এবং আইনানুগ কোনো প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে কারখানা বন্ধ করছেন। শ্রমিকদের চাকরিচ্যুত করছেন। ১২ জুন আদমজি ও ১৩ জুন আশুলিয়ায় বুভুক্ষ শ্রমিকের ওপর গুলি ছুঁড়তে, টিয়ার শেল ছুঁড়তে, লাঠিচার্জ করতে দ্বিধা করেননি তারা। নেতারা বলেন, শ্রমিকের পাওনা অত্মসাৎ প্রক্রিয়া ও শ্রমিক নির্যাতনে যুক্ত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে। গুলি আর নির্যাতনের ভয় দেখিয়ে ক্ষুধার্ত শ্রমজীবী মানুষের ক্ষোভ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন নেতারা।